মনুষ্যত্ব বোধের অভাবঃ
হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ।
উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের টাইপালং মাদ্রাসার হাজার গজ উত্তর পূর্বে দরগাবিল সড়ক ঘেষে চেরাংগর বাড়ী।
এলাকার ঐতিহ্যবাহী পরিবার,ধনাঢ্য পরিবার বলা যায়।
৬ ভাই ৩ বোন।বড় ছেলে ডাঃ কবির,শামসুল হক, নুরুল হক,মনিরুল হক,এডঃ আজিজুল হক,হামিদুল হক এমএসসি।
ছবির অসুস্হ লোকটি এডঃ আজিজুল হক।এক সময় তার বউ ছিল,এডঃপাশ করার পর দুবাই গিয়েছিল বড় ভাই মুনিরেন ব্যবসা দেখাশুনার জন্য।
একসময় চলে এসে কক্সবাজার জজকোর্টে আইন পেশা শুরু করেন।কিছুদিন পর অসুস্হ হয়ে পড়ে।বউটা চলে যায়।
দিন দিন অসুস্হতা গ্রাস করে।দেখার কেউ রইলনা।
গত ২৮ জানুয়ারি জুমার পর একরাম মার্কেটের মালিক জমিদার একরাম সহ দরগাবিল থেকে আসছিলাম।
টাইপালং ষ্টেশনের অদুরে রাস্তা দিয়ে বাড়ী মূখী হাটার চেষ্টা করছিল।পয়লা মনে করলাম পথদূঃখী।একরাম চিনেই আওয়াজ করল আহারে!
সম্বিৎ ফিরে দেখি আজিজ বদ্দা।গাড়ী থেকে দুজন নেমেই কৌশল বিনিময়।একপলক তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছুড়ে।এক নিমিষেই চোখের পানি সম্বরণ করা গেলনা।
তারপর জমিদার একরাম বলে বেচারা হাটতে পারছেনা একটু বাসায় পৌছে দিলে ভাল হয়,উৎসাহিত হয়ে বাহুতে ধরে খুব ধীরে ৫ শত গজ দুরে বাড়ীতে এগিয়ে দিলাম ৩০ মিনিটে।
বড় ভাই নুরুল হক বেরিয়ে এসে অপরিস্কার একটা চেয়ার এনে দিয়ে বলে বসিয়ে দেন,বিরক্তকর কন্ঠে।
কদিন হয় জানিনা গোসল করছেনা,খুব অপরিস্কার কাপড় চোপড়,খুব গন্ধ,একটু ঔষধ আর আন্তরিক পরিচর্যা পেলে-এডঃ আজিজ নিশ্চিৎ সেরে উঠতে পারে আল্লাহর রহমতে। কিন্তু সব কৃপানন্ধ।
ছবির বাড়ী গুলো তার ভাইদের,আরও কয়েকটা বহুতল ভবন আছে,কক্সবাজার আছে ১৷শত কোটি টাকার সম্পত্তি।গোটা পরিবারের বার্ষিক বৈধ আয় কোটি কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। অথচ!
তাদের সব আছে তবে চোখ আর মন নেই তাইতু দেখলাম।
সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ পাক যাতে চেরাং গ র পরিবারের অঢেল ধণসম্পদের মালিক ভাইদের চোখ আর ভাল মন/অন্তর দে।
যে চোখ আর অন্তর দিয়ে অসহায়-অসুস্হ কাউকে নয় অন্তত নিজের অসুস্হ উচ্চশিক্ষিত মূমূর্ষ ভাই এডঃভোকেট আজিজ কে তার জমি গুলো বিক্রী করে হলেও তাকে চিকিৎসা করায়।
লেখাটি সাংবাদিক নুর মুহাম্মদ সিকদারের ফেইসবুক আইডি থেকে নেওয়া
Leave a Reply