ঢাকা, সোমবার ২২ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
কক্সবাজারের সার্জেন্ট মনির ও মাসিক টোকেন
এডভোকেট আব্দুল মান্নান ::

ওসি প্রদীপের চক্ষু লজ্জা ছিল। এদের তাও নাই। সার্জেন্ট মনির আমার প্রাইভেট গাড়িতে আইনজীবী স্টিকার থাকায় কাগজ পত্র সব টিক থাকা সত্বেও ড্রাইভারের রানার কার্ড থাকায় গাড়িকে মামলা দিবেন বলে ডলফিন মোড়ে গাড়িটি আটকে রাখেন। আমি ফোন দেওয়ার পরও তিনি আমাকে ভাল আইন কানুন শিখিয়েছেন। এক পর্যায়ে ড্রাইভারকে মামলার স্লীফ ও ধরিয়ে দেন। ততক্ষণে বাণিজ্যিক মোড়ে সার্জেন্ট মনিরের অদক্ষতায় বাস ও টমটম এর সংঘর্ষে টমটম এসে আমার গাড়িতে লেগে আমার গাড়ির কপাল আর আমার কপাল দুইটাই শেষ করল। আমার ড্রাইভার গাড়ি নষ্টের প্রশ্ন করায় তাড়াতাড়ি মামলার স্লিপটি ফেরত নিয়ে তাড়িয়ে দিল। মামলায় কত টাকা জরিমানা হত জানিনা, তবে গাড়ি ঠিক করতে মেকানিকের দাবি ১৯ হাজার টাকা। খবর শুনে আমি ডলফিন মোড়ে এসে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৪১ মিনিট দাঁড়িয়ে গাড়ি দেখছিলাম যেখানে ২০০ মত ডাম্পার,সি এন জি,জীপ গাড়ি রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ও কাগজ পত্র ছাড়া, ডলফিন মোড় অতিক্রম করেছে। সার্জেন্ট মনির এদের কে, কী মামলা দিয়েছে বা আইন কানুন শিখিয়েছে আমি জানিনা। তবে আমার সাথে থাকা কয়েক জন সাংবাদিক আমাকে জানিয়েছেন যে, এখানে মাসিক টোকেন ছাড়া, কেও গাড়ি চালাতে পারে না। এক্ষেত্রে মাসিক আয় ও ৩০ লক্ষ টাকার উপরে।মাননীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়সহ পুলিশের কর্তাদের দৃস্টি আকর্ষন করছি, এক ঘন্টা ডলফিন মোড়, এক ঘন্টা বাসটার্মিনাল,এক ঘন্টা লিংরোড ছদ্মবেশে দাড়িয়ে দেখুন কোন স্বর্গে আমরা আছি। কেন দূর্ঘটনা কমছেনা? উত্তর খুঁজে পাবেন। আইন কে দিয়ে বাণিজ্য শুরু হলে বিচার এমনিতেই আত্মহত্যা করে।

লেখক অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান 

সিনিয়র এডভোকেট কক্সবাজার জজ কোর্ট। 

লিখাটি লেখক এর ফেসবুক আইডি থেকে নেওয়া। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *