ঢাকা, মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
পালকি পাঠিয়ে কাউকে নির্বাচনে আনব না : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, নির্বাচন কমিশন, সরকার এবং আওয়ামী লীগ চায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। কিন্তু কোনো দল যদি না আসে, আমরা তো কাউকে পালকি পাঠিয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসব না।

সোমবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শাহরিয়ার আলম।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন, সরকার এমনকি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চায়। তবে এটা নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। আপনি এখন লন্ডন থেকে নমিনেশন নেবেন, না মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া বা ঢাকা থেকে নেবেন- সেই সিদ্ধান্ত কেউ না নিতে পারলে তার দায়ভার তো আমরা নিব না।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে চাইব সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু আমরা তো কাউকে পালকি পাঠিয়ে নির্বাচনে নিয়ে আসব না।

বিদেশি বন্ধুদের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের আহ্বানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এটা নিয়ে খুব বিচার বিশ্লেষণ করিনি। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনকে বয়কট শুধু নয়, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে খুন পর্যন্ত করেছে। তবে ২০১৪ সালের সরকারের ধারাবাহিকতার যে সফলতা, সেখানে বন্ধুত্ব বেড়েছে, অংশীদারত্বের সম্পর্ক পরিণত হয়েছে, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে এবং সেই সরকারের গ্রহণযোগ্যতার কমতি ছিল না। নির্বাচনে কে আসল, না আসল দিনশেষে তা গণ্য হয় না। আমরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন করতে পেরেছি কিনা, সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি কিনা, সেটিই বিবেচ্য।

তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের বাস্তবতা কি এখনো একই রয়েছে কিনা এবং বন্ধু দেশগুলোর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি কোনো পরিবর্তন দেখি না। তবে ২০১৮ এর আগে তাদের (বিদেশি কূটনীতিকরা) এতটা সক্রিয় দেখিনি। তারা এবার অনেকদিন আগে থেকে সক্রিয় হয়েছেন। এর উদ্দেশ্য ও কারণ তারাই বলতে পারবেন। তবে পরিষ্কারভাবে বলি, কে নির্বাচনে আসল কি আসল না, তা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের নিয়ামত বা উপাদান নয়। কারণ পৃথিবীতে এমন রাষ্ট্র নিকট অতীতেই ছিল যেখানে সংসদে কোনো বিরোধী দল ছিল না। এটা এই গ্রুপগুলোর মধ্যেই ছিল। এখনো আছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গুরুত্বও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তফাত আছে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব সবসময় ছিল। কিন্তু আশপাশের দেশগুলোর বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্ব, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এসবকিছুই নতুন জোনে আমাদের নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়গুলো আগে আওয়ামী লীগও মোকাবিলা করেনি। যার ফলে নতুন সম্ভাবনার সঙ্গে চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করে ঠান্ডা মাথায় এগিয়ে যেতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *