ঢাকা, মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন
ছাড়া পেয়ে ঘটনার বর্ণনা দিলেন গয়েশ্বর
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে তার পল্টনের অফিসে পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় তিনি কীভাবে হামলার শিকার হলেন সেটার বিস্তারিত বর্ণনা করেন। তার অভিযোগ, কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত বেধড়ক পিটিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (২৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নয়াপল্টনে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা জানান তিনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষের সময় আমার মাথা ফেটে যায় এবং রক্তাক্ত হয়ে পড়ে যাই। পরে কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত বেধড়ক পিটিয়েছে। সেখান থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে রাজারবাগের পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েছে। পরে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়েও নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে অফিসে দিয়ে গেল।

শারীরিক অবস্থা এখন কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইনজুরি হওয়ার পর সুস্থ হতে সময় লাগবে। এখন স্যালাইন দিতে হবে।

এর আগে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াবাজারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল বিএনপিসহ দলটির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের। তবে হঠাৎ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বিএনপি ধোলাইখাল মোড়ে অবস্থান নেয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরে যেতে বলে পুলিশ।

তবে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন নিয়ে অনড় অবস্থানের কথা জানায়। নয়াবাজারে কর্মসূচি পালনের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। এ সময় তার মাথার একপাশ থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়।

এদিকে ধোলাইখালে কর্মসূচি পালনের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি কেন্দ্র করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। জবাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন অবস্থানকারীরা।

একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক করতে গেলে গয়েশ্বর বাধা দিলে তার ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তাকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখা যায়। এ অবস্থায় তাকে হেফাজতে নেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *