বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে দিয়ে মিয়ানমার থেকে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ৮ জন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, তাদের স্থানীয় লোকজন আটকের পর বিজিবির কাছে সোপর্দ করেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিজিবির পক্ষে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিজিবি সদর দপ্তরও এ ব্যাপারে কোনো কিছু বলতে রাজি নয়।
এদিকে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়া এলাকায় তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের গ্রাম রয়েছে। যেখানে ৪ শত পরিবার বসবাস করে। তাদের খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় তথ্য দিচ্ছে সীমান্তবর্তী এলাকার লোকজন। ফলে যে কোনো মুহূর্তে আরও অনেকের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে.
এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও সংস্থার সহায়তা চেয়েছেন কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, মিয়ানমারে দেশটির সরকারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে মিয়ানমার সীমান্তে আটকে পড়া বসবাসকারীদের মধ্যে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। আহতদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় জীবন বাঁচাতে তারা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছেন। তাদের খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এই মুহূর্তে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক কমিটি অব দ্য রেডক্রসসহ (আইসিআরসি) সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে এসব সীমান্তের লোকজন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করবে। যেটি বাংলাদেশের জন্য নতুন বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, ‘আগে থেকেই আমরা ১০ লাখের বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছি।’
এদিন সকালে টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্ত অনুপ্রবেশকালে আটক রোহিঙ্গাদের ৫ সদস্যের পরিবারটিকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এ ব্যাপারেও বিজিবির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply