ঢাকা, শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের আরও ১১ সীমান্তরক্ষী
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

বেশ কিছুদিন ধরে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এ ঘটনায় দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১১ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৬।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে এ পর্যন্ত ১০৬ জন বিজিপি সদস্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।

মো. শরিফুল ইসলাম জানান, গত রোববার সকাল থেকে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড ফোর্সের (বিজিপি) সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ছিল ৩৯, রাত ৮টা পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৮ এবং রাত ৮টার পর আরও ৩৮ জন এসেছেন। এ ছাড়া আহত ১৫ বিজিপি সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৪০০ জন রোহিঙ্গা চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছেন। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে চলমান সংঘর্ষের পর এ চিত্র দেখা গেছে। কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কক্সবাজার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোরশেদ আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমার থেকে কোনো রোহিঙ্গা অথবা অন্য সম্প্রদায়ের লোকজন যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য বিজিবির অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়েছে।

সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আক্তারুন্নাহার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় চলমান অস্থিরতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।

প্রসঙ্গত, রাখাইন জাতিগত সংখ্যালঘু আন্দোলনের সুপ্রশিক্ষিত ও সুসজ্জিত সামরিক শাখা আরাকান আর্মি, যা মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে স্বায়ত্তশাসন চায়। এটি সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠীর একটি সদস্য। এরা সম্প্রতি মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কৌশলগত অঞ্চল হিসেবে অর্জন করেছে। মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি এবং তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির সঙ্গে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামে একত্রে কাজ করে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর চীন সীমান্তবর্তী উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে একটি সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *