ঢাকা, শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন
পরাজয় এড়াতে গোলাবারুদ নষ্ট করে ফাঁড়ি ছাড়ছে জান্তা সৈন্যরা : আরাকান আর্মি
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

মিয়ানমারের সর্বপশ্চিমের রাজ্য হারাতে যাচ্ছে জান্তা সরকার। এ কারণে রাখাইনের উত্তরাংশ থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের পাশাপাশি দক্ষিণে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা তীব্রতর করেছে শাসক সৈন্যরা।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে আরাকান আর্মির (এএ) এই দাবি তুলে ধরেছে সংবাদমাধ্যম ইরাবতি।

রাখাইন রাজ্যের মাইবন শহরের দুটি পাহাড়ের চূড়ার ফাঁড়ি থেকে রবিবার সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার পর এক বিবৃতিতে ওই দাবি করেছে এএ। এতে বলা হয়েছে, জান্তার সেনারা যদি প্রতিরোধ গড়তে আসে তবে অবশ্যই হারবে। আর সেই পরাজয় এড়াতে আগেভাগে সৈন্যদের সরিয়ে নিয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মাইবন শহরের ৪০২ ও ৪০৮ নম্বর ফাঁড়ি দুটির অস্ত্র, গোলাবারুদ ও কামান গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ধ্বংস করা হয়েছে। সেখানে থেকে কেবল বহনযোগ্য অস্ত্র নিয়ে হেলিকপ্টারে করে সৈন্যদের রাখাইনের উত্তরাংশ থেকে দক্ষিণাংশের অ্যান শহরে নেওয়া হয়েছে।

এই অঞ্চলের রামরিতে স্থল, নৌ ও আকাশপথে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে জান্তার সৈন্যরা। শনিবার ৪ নম্বর কিং তায়ে ওয়ার্ডে অন্তত দেড়শ বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে অন্য শহরগুলোতে সংঘর্ষ-সংঘাত বৃদ্ধি পেয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সব ঘাঁটি ও ফাঁড়ির সৈন্যরা আত্মসমর্পণ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আক্রমণ চালিয়ে যাবে আরাকান আর্মি।

এএ জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে পরাজয়ের বাস্তবতা এখনও মেনে নিতে পারেনি জান্তা সরকার। তারা সাধারণ মানুষের ওপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করছে। রাজ্যের ঘাঁটি ও ফাঁড়িগুলো ঘিরে জান্তার সৈন্যরা মাইন বসাচ্ছে। সেই সঙ্গে যোগাযোগ, তথ্য ও পণ্য থেকে পশ্চিমের রাজ্যকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।

গত বছরের ২৭ অক্টোবর উত্তরের শান রাজ্যে অপরাশেন ১০২৭ শুরু করে আরাকান আর্মি। নভেম্বরে রাজ্যের উত্তরাংশে এবং চিন রাজ্যঘেঁষা পালেতোয়া শহরে শাসক সৈন্যদের বিরুদ্ধে বিস্তৃত পরিসরে অভিযান জোরদার করেছে তারা।

রাখাইন রাজ্যে এখন পর্যন্ত ১৭০টির বেশি ঘাঁটি ও ফাঁড়ি দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এ ছাড়া দখলে নিয়েছে পাউকতাও, কিয়কতাও, মিনবিয়া, ম্রাউক-ইউ, তাংপিওলেটওয়ে ও মাইবোন শহর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *