রাজধানীতে গরুর মাংসের দাম কমেছে। স্থানভেদে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে মাংস। কোথাও কোথাও ৬০০ টাকার কমেও পাওয়া যাচ্ছে গরুর মাংস। যদিও অনেক স্থানে এখনও আগের মতোই ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর মগবাজার, পুরান ঢাকা, বনশ্রী, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
এছাড়া উত্তর শাহজাহানপুরের খলিল ফার্নিচার গার্ডেনের পাশে দেখা গেছে ফেস্টুন টানিয়ে মাংসের দোকানে দাম হাকা হয়েছে ৫৯৫ টাকা কেজি। এ দোকানে মাংসের জন্য ক্রেতার ভিড় সকাল থেকেই ছিল অনেক। দাম কমায় নিম্ন আয়ের মানুষও শুক্রবার মাংস কিনতে লাইন দিয়েছেন।
একই চিত্র দেখা গেছে মগবজার চারুলতা মার্কেটে। সেখানে রমজান খান এন্ড কুদ্দুস মিট ব্যানার টানিয়ে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে দেশি গরুর মাংস।
দাম কমার কারণ জানতে চাইলে চারুলতা মার্কেটের মাংস বিক্রেতা কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ করেই গরুর দাম কমে গেছে। যে কারণে বাজারে গরুর মাংসের দাম কিছুটা কম।’
পুরান ঢাকার লালবাগের মাংস বিক্রেতা হালিম কসাই জানান, আমরাই প্রথম এখানে মাংসের দাম কমিয়েছি। আমরা সিন্ডিকেট ভাঙতে এটি করেছিলাম। আমরা সফল। আগে একটা গরুই বিক্রি করতে কষ্ট হতো। এখন দিনে ৪টাও বিক্রি করি।
ঢাকার লালবাগের নবাবগঞ্জ বাজার থেকে ৫৮০ টাকা দরে গরুর মাংস কেনেন ক্রেতা কবির হোসেন। তিনি বলেন, ‘৬০০ বা এর নিচেও গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে। তবে এসব মাংসে চর্বি বেশি থাকে। হঠাৎ করে কমে যাওয়ায় মান নিয়ে আমার সন্দেহ হয়।’
কারওয়ান বাজারে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে বলে জানান বিক্রেতা মো. সেলিম। তিনি বলেন, ‘বাজারে চাহিদা কমে গেছে। আগের মতো বিক্রি হচ্ছে না। সে তুলনায় গরুর সরবরাহ বেড়েছে। যার কারণে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে গরুর মাংসের দাম।’
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মোর্তুজা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশে গরুর উৎপাদন ভালো। গরুর মাংসের দাম আরও কমানোর সুযোগ আছে।’
মূল্যস্ফীতির কশাঘাতে খাদ্যতালিকা থেকে যেখানে মাংস বাদ দিতে বাধ্য হয়েছেন কম আয়ের মানুষ। সেখানে হঠাৎ করে দাম কমে যাওয়ায় অনেকেই হড়িতে তুলছেন লাল মাংস।
বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘খামারিরা এখন দানাদার খাদ্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে প্রাকৃতিকভাবে উন্নতজাতের ঘাস উৎপাদন করছেন। এতে উৎপাদন খরচ কমেছে।’
Leave a Reply