ঢাকা, বুধবার ১৫ মে ২০২৪, ০৪:০৭ অপরাহ্ন
কীভাবে বুঝবেন পানিশূন্যতায় ভুগছেন
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

শরীরে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দেখা দিলে রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে। এর ফলে বার বার পানি পিপাসা লাগে, মুখ শুকিয়ে আসে, চোখ ডেবে যায়, পেশীতে ব্যথা অনুভব হয়। পানিশূন্যতা দেখা দিলে শরীর থেকে ঘাম বের হয় না, চোখে অশ্রু তৈরি হয় না এবং প্রস্রাবের পরিমাণ কমে আসে।

চিকিৎসকেরা বলেন, প্রস্রাবের রঙ যত হালকা তত বেশি হাইড্রেটেড। আপনার যদি প্রস্রাব কম হয় তবে এটি একটি খারাপ লক্ষণ।  শারীরিক পরিশ্রম করার সময়েও যদি ঘাম বের না হয়, চোখ যদি অশ্রু তৈরি করতে না পারে; তার অর্থ আপনি পানিশূন্যতায় ভুগছেন।

মাঝারি থেকে গুরুতর ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ

মাঝারি বা গুরুতর পর্যায়ের পানিশূন্যতা তৈরি হলে রোগী খামখেয়ালীপূর্ণ আচরণ করে। মেজাজ হয়ে পড়ে খিটখিটে। এরা একটুতেই ক্লান্তিবোধ করে। পানিশূন্যতার পরিমাণ গুরুত্বর হলে রোগীর দ্রুত হৃদস্পন্দন হয়। গুরুতর পানিশূন্যতা দেখা দিলে  শরীর ভেঙে যেতে শুরু করে। ফলে শরীরে অনেক স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।

চিকিৎসকেরা বলেন, শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে হৃদপিণ্ডকে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। যার অর্থ হৃৎপিণ্ড স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক দ্রুত স্পন্দিত হয়।  এ অবস্থায় ফুসফুস যাতে আরও অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে সেজন্য ব্যায়াম করতে হবে, ধ্যান, প্রার্থনা বা ইয়োগা করতে হবে।

পানিশূন্যতা দূর করার উপায়: ইফতার ও সেহরিতে তরল জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া শাকসবজি খেতে হবে। কারণ শাকসবজিতে থাকে উচ্চ মাত্রার পানি। এ ছাড়া মৌসুমী ফল, মাছ, ডাল, দুধ পানিশূন্যতা দূর করতে পারে, সুতরাং এসব খাবার খেতে হবে।

পানিশূন্যতা দেখা দিলে হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

 

তথ্যসূত্র: এসএমএসওআরজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *