করোনা মহামারি পরিস্থিতি সত্ত্বেও আগামী বছরের হজ সব দেশের হাজিদের অংশগ্রহণে হবে বলে জোরালো আশা করা হচ্ছে। তবে ২০২২ সালের হজ ব্যবস্থাপনা অনেকাংশেই প্রযুক্তিনির্ভর হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এজন্য হজযাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র হজ ২০২২ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার অংশ হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারসংক্রান্ত বিষয়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের লক্ষ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে হজযাত্রীদের হজ পালন করতে হতে পারে। বর্তমানে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে পবিত্র ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতিতে ২০২২ সালে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে বলে সৌদি আরব সরকারের পক্ষ হতে দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনায় সম্ভাব্য নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের প্রেক্ষিতে হজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী, হজ গাইড, হজ এজেন্সির প্রতিনিধি ও হজযাত্রীদের আগে থেকেই সচেতন করা হবে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি অবকাঠামো এবং দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল প্রস্তুত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।’
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুল আওয়াল হাওলাদারের সভাতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমান, হজ অফিস, ঢাকার পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের পরিচালক মো. বজলুল হক বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply