ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০২ পূর্বাহ্ন
৬০ টাকার লটারি কিনে কোটিপতি ভ্যানচালক !
ডেস্ক রিপোর্ট ::

পরিবারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যক্তি তিনি। ভ্যান চালিয়ে চার মেয়ে ও স্ত্রীসহ ছয়জনের পরিবারের অন্নের সংস্থান করতেই হিমশিম খাচ্ছিলেন। কীভাবে মেয়েদের বিয়ে দেবেন, ভেবে কূলও পাচ্ছিলেন না। অবশেষে লটারির টিকিট তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিলো। মাত্র ৬০ টাকার টিকিটি কেটে এখন কোটিপতি ভারতের পশ্চিবঙ্গের ভ্যানচালক দীপক দাস।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এই সময়ের খবরে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে কাজের ফাঁকে ৬০ টাকা দিয়ে লটারি কেটেছিলেন দীপক দাস। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় লটারির দোকানে টিকিটের নম্বর মেলাতেই দেখেন, প্রথম পুরষ্কার স্বরূপ তিনি জিতে গেছেন ১ কোটি টাকা। লটারি জিতে কোটি টাকা পাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেননি এই ভ্যানচালক।

উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় বরুয়া এলাকার বাসিন্দা দীপক জানান, প্রতিদিন রায়গঞ্জ শহরে ভ্যান চালিয়ে কোনো রকমে অন্নের সংস্থান করতেন। ফলে চার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য তার ছিল না। তাই সুদিনের আশায় ও মেয়েদের ভালোভাবে বিয়ে দিতে বছর দেড়েক ধরে ভাগ্য পরীক্ষা করতে শুরু করেন তিনি।

তিনি বলেন, মোটা অঙ্কের টাকা প্রাপ্তির আশায় প্রতিদিনের উপার্জন থেকেই কিছু টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কাটা শুরু করেন। মাঝে দু-একবার সামান্য কিছু টাকা পেলেও বেশির ভাগ দিনই টিকিট কাটার টাকা জলে যেতো। তবু আশা ছাড়েননি তিনি। অবশেষে মঙ্গলবার তার ভাগ্যে শিকেয় ছিঁড়ল!

লটারিতে কোটি টাকা পেয়ে বিলাসিতা নয়, মেয়েদের ভালোভাবে বিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য ভ্যানচালক বাবার। দীপক দাসের কথায়, ‘চার চারটি মেয়ে। কীভাবে মেয়েদের বিয়ে দেবো, বুঝতে পারছিলাম না। দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটছিল। অবশেষে ভগবান মুখ তুলে চেয়েছেন। এখন চার মেয়ের ধুমধাম করে বিয়ে দিতে পারব।’

এদিকে, দীপক দাসের কোটিপতি হওয়ার খবর মূহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। এরপরেই নিরাপত্তাহীনতা গ্রাস করে ওই ভ্যানচালক ও তার পরিবারকে। আশঙ্কায় মঙ্গলবার রাতেই স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে রায়গঞ্জ থানায় গিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন দীপক দাস। পুলিশ অবশ্য তাকে নিরাশ করেনি। নিরাপত্তাসহ সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।

দীপক দাসের প্রতিবেশী রিপণ সরকার বলেন, ‘দিনমজুর, হতদরিদ্র ভ্যানচালক দীপক দাস ১ কোটি টাকার লটারি পাওয়ার খবর শোনা মাত্রই রায়গঞ্জ থানার পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দেওয়া ও টাকা ঠিকমতো হাতে পাওয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *