ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩ জুলাই ২০২৪, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন
স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়নে ওয়ার্ল্ড ভিশনের অবদান উল্লেখযোগ্য : অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক
নিজস্ব প্রতিবেদক ::

কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়নে ওয়ার্ল্ড ভিশন দৃশ্যমান অবদান রাখছে। বিশেষ করে দরিদ্র নারীদের জীবিকায়নের জন্য আয়বৃদ্ধিমূলক প্রকল্প যেমন: হাঁস-মুরগীসহ টার্কি পালন, বসতভিটায় সবজি চাষ, রাস্তাঘাট মেরামত, জোয়ারের পানি ফসলের গমণ নিয়ন্ত্রণে বাঁধ তৈরিসহ গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।

আজ বুধবার (২৩ মার্চ, ২০২গ) কক্সবাজারের ওশান প্যারাডাইস হোটেলে আয়োজিত ইমার্জেন্সী ফুড সিকিউরিটি প্রোগ্রামের লেসন লার্নিং কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সাবাজারের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ একথা বলেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন আমেরিকার ফুড সিকিউরিটি এন্ড লাইভলিহুড সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার হেনরিক স্টার্ফ, জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন সিনিয়র ডাইরেক্টর ডক্টর জ্যাকুলিন ওগেগা ও টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর ল্যাটিসিয়া এনকোনিয়া।

সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স ডিরেক্টর ফ্রেডরিক ক্রিস্টোফার।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. ভবসিন্ধু রায়, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জ্যোতিমর্য় ভৌমিক, হ্নীলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুব্রত বিশ্বাস, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হেলাল উদ্দিন, সাংবাদিক ইকরাম টিপু, উখিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সরওয়ার আলম শাহীনসহ গণমাধ্যম প্রতিনিধিগণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কারী কমিটির সদস্য হেলাল উদ্দিন সহ প্রকল্পের উপকারভোগীগণ এবং ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তাগণ।

 

এর আগে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন ইউএসএআইডির অর্থ সহায়তায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও হোস্ট কমিউনিটির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ইমার্জেন্সী ফুড সিকিউরিটি প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।

এসব প্রকল্পের উপকারভোগী ১৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার বাহারছড়া, হ্নীলা, রাজাপালং, পালংখালী এবং জালিয়াপালং ইউনিয়নের ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬১ জন।

প্রকল্পের আওতায় গত তিন বছরে, ৩৬কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন, তিন দশমিক ৬৭ কিলোমিটার ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন, ৬ টি বাঁশের সেতু, নয়শ মিটার মাটির বাঁধ নির্মাণ, ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার খাল পুন:খনন এবং বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংস্কার করা হয়েছে।

এছাড়া ৪ হাজার ৭০৬ উপকারভোগীকে আয়বর্ধনমূলক কার্যক্রমের ওপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রতি পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন এবং পুষ্টির চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে ৫ হাজার ২২৯ পরিবারকে সবজী বীজ, প্রশিক্ষণ, এবং কৃষি উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।

১ হাজার ৮৬৬ গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়ের মাঝে পুষ্টি সচেতনাতামূলক কার্যক্রম এবং পারিবারিক সহিংসতা নিরসনের লক্ষ্যে, ১ হাজার ৯৯৬ দম্পতির মাঝে সচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।

এছাড়া, কোভিড ১৯ মোকাবেলায় ৫ হাজার ২২৯ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *