ঢাকা, রবিবার ২১ জুলাই ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন
সিগারেটের প্যাকেটে বহন করা ইয়াবা গিলে ফেললেন আওয়ামী লীগ নেতা
ডেস্ক রিপোর্ট ::

সিগারেটের প্যাকেটে ইয়াবা বহন করে নিয়ে যাওয়ার সময় বরিশাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা তল্লাশিতে ধরা পড়লেন। এরপর সেই ইয়াবা গিলে ফেলেও রক্ষা পাননি ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ঝালকাঠী জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আবু সাঈদ খান। তাকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় জেলহাজতে যেতেই হলো। বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শামীম আহমেদ তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার। তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক গত রাতে একটি লিখিত অভিযোগসহ চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানকে পুলিশে সোপর্দ করেন। যে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয় এবং সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল আদালতে সোপর্দ করা হয়’।
থানায় দেয়া বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক মো. আব্দুর রহিম তালুকদারের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী নভোএয়ার বিমানের যাত্রী ছিলেন আবু সাঈদ খান। বিমানবন্দরের সর্বশেষ চেকিং গেট অতিক্রমকালে স্ক্যানার মেশিনের পরীক্ষার মাধ্যমে আবু সাঈদ খানের ব্যাগে লাইটার দেখতে পাওয়া যায়।

এরপর তাকে লাইটারটি বের করতে বললে তিনি নেই বলে জানান। তারপর ব্যাগটি আবার মেশিনে দেয়া হলে লাইটারের পজিশন নিশ্চিত করা হয়। এরপর আবু সাঈদ খান ব্যাগটির মধ্য থেকে হলিউড ব্র্যান্ডের একটি সিগারেটের প্যাকেট বের করেন, যার মধ্যে লাইটারটি ছিল। লাইটার ফেলার সময় নিরাপত্তাকর্মীরা দেখতে পান সিগারেটের প্যাকেটের মধ্যে কালো কার্বনে মোড়ানো কিছু একটা আছে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে আবু সাঈদ খান কার্বনে মোড়ানো বস্তুটি বের করে খেয়ে ফেলেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিমানবন্দর নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে স্বীকার করেন, ওর ভেতরে ইয়াবা ছিল।

বিষয়টি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক সিভিল এভিয়েশন সদর দপ্তরে অবহিত করা হলে আবু সাঈদ খানের বোর্ডিং বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক মো. আব্দুর রহিম তালুকদার ‘বিমানবন্দরের নিরাপত্তা তল্লাশির সময় মাদকসহ যাওয়ার চেষ্টা করা ও আলামত নষ্ট করার অভিযোগে’ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। পাশাপাশি যাত্রী আবু সাঈদ খানকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। এরপর পুলিশ মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে। মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *