বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় অশনিতে পরিণত হয়েছে। অশনির অবস্থান কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। ফলে সমুদ্র বন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় সব ধরনের মাছ ধরার ট্রলার কক্সবাজারের বাঁকখালী ও উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ বলেন, সমুদ্র এখন উত্তাল রয়েছে। ইতোমধ্যে সাগরে থাকা মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে কূলে চলে আসতে বলা হয়ছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌযানকে উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কক্সবাজারে ঘুরতে আসা ভ্রমণপিপাসুদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে। তাদের সমুদ্রস্নান কিংবা পানিতে নামার ক্ষেত্রে নিষেধ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সাগরে সতর্ক সংকেত ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পর্যটকরা আতঙ্কে রয়েছেন। তারা জেনে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক জাকির হোসেন বলেন, সকাল থেকে সাগর উত্তাল। তাই অনেক ইচ্ছে থাকার সত্ত্বেও ভয়ে নামতে পারছি না। পুরো আনন্দটা মাটি হয়ে গেল।
রাজশাহী থেকে সপরিবারে বেড়াতে আসা জোবায়ের বলেন, এত দূর থেকে আসলাম ছেলেমেয়েদের নিয়ে একটু সাগরে গোসল করব। কিন্তু সাগর যে পরিমাণ উত্তাল, তাতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে নামতে সাহস পাচ্ছি না।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিচ কর্মী মাহবুবুর রহমান জানান, আমরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। অনিরাপদ জোনে গোসল না করার জন্য মাইকিং করছি। পানিতে নেমেও সতর্ক করা হচ্ছে। তবে উৎসুক পর্যটকরা কোনো নির্দেশনা মানছেন না।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত ঘোষণার পর ট্যুরিস্ট পুলিশ সজাগ রয়েছে। পর্যটকরা যাতে গভীর পানিতে নেমে গোসল কিংবা ওয়াটার বাইক না চালান, সেদিকে নজর রাখা হয়েছেন। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। যারা সতর্ক সংকেত না মেনে সমুদ্রের পানিতে নামছেন, তাদের কূলে তুলে দেওয়া হচ্ছে। সমুদ্রের উত্তাল অবস্থা না কমলে দর্শনার্থীদের সমুদ্রের পানিতে নামতে দেওয়া হবে না।
Leave a Reply