কক্সবাজারের উখিয়া ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে ছাই হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও শতাধিক বসতি। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়ার লম্বাশিয়া ৫ নম্বর ক্যাম্পে শুরু হওয়া অগ্নিকাণ্ডের দীর্ঘ ২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অগ্নিকাণ্ডে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার ডা. শামসুদ্দৌজা নয়ন। বলেন, ক্যাম্পের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জেনেছি। বাতাস থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।

দমকল বাহিনীকে খবর দেয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। সবার প্রচেষ্টায় ২ ঘণ্টার মাথায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে এক শিশু মারা গেছে বলে জানা গেলেও তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উখিয়া স্টেশনের কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানান, উখিয়ার ৫ নম্বর ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে রওনা দেয়। অন্য এলাকার টিমও এসে কাজে যোগ দেয়। প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১৪ (এপিবিএন) এর অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) নাইমুল হক জানান,  ক্যাম্পে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আমাদের লোকজন কাজ করেছে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়।
গত ৯ই জানুয়ারি উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা এলাকার একটি শরণার্থী শিবিরে সন্ধ্যায় এক অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৬শ’ ঘর পুড়ে যায়। এতে ৩ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় হারিয়েছেন। এর আগে ২রা জানুয়ারি উখিয়া বালুখালী ২০ নম্বর ক্যাম্পের জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত করোনা হাসপাতালের জেনারেটর থেকে এই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে। এ ছাড়া  গত বছরের ২২শে মার্চ উখিয়ার বালুখালীতে আগুনে পুড়ে মারা যায় ১৫ রোহিঙ্গা। তখন ১০ হাজারের মতো ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে।