অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক পাচারকারী কিংবা অপরাধীদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। তারা জাতির শত্রু। মাদক পাচার নির্মূলে বিজিবিতে এখন হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৭৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তে কাজ করা দুরূহ ব্যাপার। তবুও সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। মাদক চোরাচালান রোধে বিজিবি সদস্যদের আরও তৎপর থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিজিবি সূত্র জানায়, গত এক বছরে বিজিবি কক্সবাজার রিজিওনের অধীন ব্যাটালিয়নগুলোর সদস্যরা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের টেকনাফ, উখিয়া, রামু, কক্সবাজার ও বান্দরবানে পাচারের সময় মালিকবিহীন অবস্থায় বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করেন। এর মধ্যে রয়েছে ৯০ লাখ ৮০ হাজার ৪৭৭টি ইয়াবা, ২৩ দশমিক ৭৫২ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ৬ হাজার ৭৬৭ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৩৩৯ বোতল মদ, ১৫৪ বোতল ফেনসিডিল, ২০৬ লিটার বাংলা মদ, ১৭ কেজি গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকারের ট্যাবলেট, সিগারেট ও অ্যামোনিয়াম সালফার। এসব মাদকদ্রব্যের সিজার মূল্য ৩৯৫ কোটি ৭৬ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৫ টাকা বলে দাবি করেছে বিজিবি।
অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের তিন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার, আশেক উল্লাহ রফিক, কানিজ ফাতেমা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মো. ফখরুল আহসান, বিজিবি কক্সবাজার রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব, কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াত, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক সাকিল আহমেদ বলেন, সীমান্তে মাদক পাচার রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছে। বিজিবিকে বিশ্বমানের একটি আধুনিক ত্রিমাত্রিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। একই সঙ্গে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজিবির পাশে থেকে সাহস জোগানোর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।
Leave a Reply