কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরও ১০৯৬ জন নোয়াখালীর ভাসানচরের পথে রওয়ানা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ১৩তম পর্বের প্রথম ধাপে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে গাড়িযোগে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারস্থ ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক।
তিনি বলেন, ২০টি বাসযোগে ক্যাম্পে আশ্রিত মোট ১০৯৬ জন রোহিঙ্গা দুপুরে ভাসানচরের পথে রওয়ানা দিয়েছেন।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি ১০ম দফায় ১২৮৮ জন, ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৬৫৪ জন, ৮ মার্চ ২ হাজার ৯৭৫ রোহিঙ্গাকে ভাসান চরে যান। এছাড়া সোনাদিয়া দ্বীপে উদ্ধার ১৪৯ রোহিঙ্গাকে ২২ মার্চে ভাসানচরে পাঠানো হয়।
গত ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ দফায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠায়। এছাড়া ২০২০ সালের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
২০১৭ সালের শেষের দিকে মিয়ানমারের সেনাদের অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। রোহিঙ্গাদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার। এরই মধ্যে ২৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
Leave a Reply