কানাডার পর দুবাইয়ে ঢুকতে চেয়েও ব্যর্থ হওয়া সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান আজ বিকেলেই দেশে ফিরছেন। বর্তমানে তিনি দুবাই বিমানবন্দরেই আছেন।
কানাডায় ঢুকতে চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর মুরাদ হাসান দুবাইয়ের ভিসা পাওয়া চেষ্টায় ছিলেন। তবে জানা যাচ্ছে, দুবাইয়ের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা আর নেই তার। তাই আজ (রোববার) বিকেলে চূড়ান্তভাবে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
দুবাই বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, বনানীর ডানা এভিয়েশন লিমিটেডের মাধ্যমে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে দেশে ফেরার টিকিট চূড়ান্ত করেছেন ডা. মুরাদ হাসান। এমিরেটসের ইকে-৫৮৬ নম্বর ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। ফ্লাইটের ফার্স্ট ক্লাস ক্যাটাগরির টিকেট কেটেছেন মুরাদ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত করোনা টেস্টের স্যাম্পল দিয়ে দুবাই বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩-এ এমিরেটসের লাউঞ্জে অবস্থান করছিলেন তিনি।
এদিকে মুরাদ হাসান যাতে দেশে ফিরতে না পারেন, এজন্য বিমানবন্দর সড়কে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকজন। বিমানবন্দর এলাকার মূল ফটকের বাইরের সড়কে প্রায় ৩০-৪০ জন নিজেদের আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করে মুরাদকে রুখে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিএম জহিরুল নামে একজন বলেন, মুরাদ বেশ কিছুদিন বিকৃত কথাবার্তা বলছিল। ইসলাম ও নারীবিদ্বেষী ছিল। সে প্রতিনিয়ত দাবি করতো, তার এসব বেফাঁস কথাগুলোর বিষয় নাকি প্রধানমন্ত্রীও অবগত আছেন। তার এই মন্তব্য নারী সমাজকে অপমান করেছে। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে বিব্রত করেছে। আমরা চাই উনার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হোক। তাকে দেশের ভেতরে ঢুকতে না দেওয়া হোক।
আবদুল্লাহ আল নোমান নামে একজন বিক্ষোভকারী বলেন, মুরাদ বাংলাদেশের নারীদের বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নারী নেতৃত্ব, চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষায় কথাবার্তা বলেছেন। কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। আমরা এগুলোর প্রতিবাদে দাঁড়িয়েছি। মুরাদকে যেহেতু কানাডা ও দুবাই থাকতে দেয়নি, আমরা চাই এমন লোক যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে। মুরাদকে বাংলাদেশে প্রবেশ করা মাত্র গ্রেফতার করার অনুরোধ করছি আমরা। সেজন্য আমরা এখানে মানববন্ধন করেছি। বিকেলে আমরা আবার আসবো।
Leave a Reply