ঢাকা, শনিবার ২০ জুলাই ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন
পা হারানো রাসেলকে সাড়ে ৩৩ লাখ টাকা দিয়েছে গ্রিন লাইন
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

রাজধানীর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে বাসের চাপায় পা হারানো রাসেল সরকারকে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোট ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের কথা জানিয়েছে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ। এই পা হারানোর ঘটনা ঘটেছিলো ৩ বছর আগে। ওই ঘটনায় হাইকোর্টে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী খোন্দকার শামসুল হক রেজা আজ রোববার (১০ অক্টোবর) বলেছেন, সর্বশেষ ৬ অক্টোবর ৪ লাখ টাকা পেয়েছেন রাসেল। সব মিলিয়ে রাসেল তার চিকিৎসা ব্যয়সহ ক্ষতিপূরণ বাবদ মোট ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন।

২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল গ্রিন লাইন পরিবহনের ধাক্কায় মারাত্মক আহত হন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পার্বতীপুর গ্রামের মো. শফিকুল আসলামের ছেলে রাসেল সরকার। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক পর্যায়ে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়। তার আরেক পায়ের অবস্থাও ভালো নয়।

এ অবস্থায় রাসেলের পক্ষ হয়ে তাকে আইনগত সহায়তা দিতে এগিয়ে আসেন গাইবান্ধার একই এলাকার বাসিন্দা জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরকার দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উম্মে কুলসুম স্মৃতি। রাসেল সরকারের জন্য কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন এই আইনজীবী। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে। পরে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ আদালত ৫০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেয়।

পরে ওই বছরের ১০ এপ্রিল আরেক আদেশে হাইকোর্ট প্রতিমাসে ৫ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ দেয় গ্রিন লাইনকে। ওই নির্দেশের পর একই বছরের জুলাই পর্যন্ত ৩ দফায় মোট ১৩ লাখ ৪২ হাজার টাকা দেয় গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ। পরে আপিল বিভাগ ওই আদেশ স্থগিত করে দেয়। এ অবস্থায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া প্রশ্নে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি হয়। এই বিষয়ে গত বছরের ১ অক্টোবর সেই রায়ে রাসেলকে আরও ২০ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় হাইকোর্ট।

এই ২০ লাখ টাকা ৪ কিস্তিতে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করেছে জানিয়ে আইনজীবী শামসুল হক রেজা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে তারা (বাস কর্তৃপক্ষ) সব অর্থ পরিশোধ করেছে। এ বিষয়ে একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশনা আছে, এখন যেহেতু কোর্ট অবকাশকালীন ছুটি চলছে, আগামী ২১ অক্টোবর কোর্ট খোলার পর পরই ব্যাংক স্টেটমেন্টটি আমরা জমা দেব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *