ঢাকা, শুক্রবার ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
পা বেঁধে আগুনে পুড়িয়ে গরু ব্যবসায়ীকে হত্যা
ডেস্ক রিপোর্ট ::

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় পা বাঁধা অবস্থায় আগুনে পুড়ে দগ্ধ মজিবুর রহমান (৫০) নামে এক গরু ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গের পাঠায় পুলিশ। এর আগে ভোরে কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের তেরোতোপা গ্রামে নিজ বাড়ির পাশের একটি জমি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মজিবুর ওই গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে।

স্থানীয় ও পরিরার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে নিহতের বাড়ির কাছে জমিতে আগুন দেখতে পেয়ে ওই এলাকার কামাল হোসেন নামে একজন মুঠোফোনে নিহতের বড় ভাইয়ের ছেলে আনিজুলকে বিষয়টি জানায়। পরে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে পা বাঁধা অবস্থায় আগুনে পোড়া মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর দেওয়া হলে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের ভাগিনা রাকিব মিয়া বলেন, ‘মামা গরু কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মামার সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয়। রাত ১১টার দিকে ফোনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই- মামার পা বাঁধা অবস্থায় শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে গেছে। আমাদের ধারণা মামা আগেই মারা গেছেন। পরে খড় ও পেট্রোল ঢেলে মরদেহ পোড়ানো হয়েছে।’

মজিবুরের বড় ভাই আতাবুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে আনিজুলকে জনৈক একজন বলেন, তোর চাচা পাওনা টাকা ফেরত না দিলে আমি কিন্তু একটা কিছু করবো। এছাড়া আমার জানামতে ছোট ভাইয়ের কোনো শত্রু ছিল না। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে একই গ্রামের কামাল ফোনে আমার ছেলে আনিজুলকে জমির খড়ে আগুন লাগার খবরটি দেয়। গিয়ে দেখি সারা শরীর পোড়া ছিল এবং মুখমণ্ডল দেখে মুজিবুরের মরদেহ চিনতে পারি।’

কলমাকান্দা থানার ওসি মো. আবদুল আহাদ খান বলেন, মজিবুরকে পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। পরে মরদেহ গায়েবের উদ্দেশ্যে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যার পর আগুন দিয়ে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *