ঢাকা, শুক্রবার ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৯ অপরাহ্ন
নাইক্ষ্যংছড়িতে দুটি অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস, বহাল এখনো ১৩ টি
নিজস্ব প্রতিবেদক ::

খিয়ার পার্শ্ববর্তী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ী ও ঘনবসতি এলাকায় অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত প্রায় ১৫টি ইটভাটার মধ্যে র‍্যাবের অভিযানে দুটি ইটভাটা বন্ধ ও ধ্বংস করা হয়েছে। ঘুমধুম এলাকায় র‌্যাব-১৫ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এ দুটি ইটভাটা ধ্বংস করে।

র‍্যাব জানায়,র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি-৩, বান্দরবান ক্যাম্প কর্তৃক ০৫ জুন ২০২২ তারিখ ১৪৩০ ঘটিকায় বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন ঘুমধুম এলাকায় জনাব মোঃ কায়েসুর রহমান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বান্দরবান পার্বত্য জেলা এর সহায়তায় র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স না থাকায়, পাহাড়ের পাশে ইটভাটা স্থাপন করায় এবং পরিবেশ বান্ধব অত্যাধুনিক চিমনি না থাকার অপরাধে ফৌজদারি কার্যবিধি ২৪৩ ধারা মতে KRS ব্রিকফিল্ড এবং TSB ব্রিকফিল্ড ধ্বংসসহ বন্ধ করা হয়েছে।

জানা যায়,বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার গভীর বনাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত এসব ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভাটা মালিকেরা লোক দেখানো কিছু পরিমান কয়লা মজুদ করে পেছনের দরজা দিয়ে ইট ভাটায় জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যাক্তি মালিকানাধিন সামাজিক বনায়নের কাঠ ও বন সম্পদ। এমনকি লোকালয় থেকে ফলজ ও বনজ গাছ কম মূল্যে ক্রয় করে ইট ভাটায় পুড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। ইট ভাটায় স্থাপন করা চিমনির কালো ধুঁয়ায় স্থানীয় পরিবেশ দূষিত হয়ে কৃষিজাত পন্যের উপর প্রভাব পড়ছে। পাশাপাশি ইট ভাটা সংলগ্ন বসতি গুলোতে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা করোনা রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এসব ইট ভাটার মধ্যে মালিকদের মধ্যে রয়েছেন ফজল মেম্বার , বাদশা মেম্বার, মনজুর,পলাশ বড়ুয়া, হায়দার আলী,সাগর, আবুল কালাম মেম্বার, সনু কোম্পানী, রত্নাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের ইটভাটাসহ ১৩ টি ইটভাটা মালিকানাধীন কয়েকটি ইট ভাটা। এসব ইটভাটার মালিকরা শুধুমাত্র প্রশাসনের উপর নির্ভর করে কন্টাকের মাধ্যমে এসব অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করে যাচ্ছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *