নদীর পাড় দখল করে অবৈধভাবে পাকা, আধা পাকা ও টিনশেডের স্থাপনা নির্মাণ করেছে প্রভাবশালী ও ভাসমান শ্রমজীবী মানুষ। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এতে পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদের ফলে এখন খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করছে ভাসমান শ্রমজীবী মানুষগুলো।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীন মাহমুদের নেতৃত্বে নদীর পাড় দখলমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় সঙ্গে ছিলেন বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
জানা গেছে, অভিযানের প্রথম দিনে লঞ্চঘাট বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে অভিযান কার্যক্রম শুরু করে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। লোহালিয়া নদীর তীরের জৈনকাঠি থেকে শুরু হয়ে লাউকাঠি নদীর ব্রিজ পর্যন্ত শত শত অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনার মধ্যে প্রভাবশালীদের বহুতল ভবনও রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় প্রশাসন এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করলেও কিছুদিনের মধ্যে আবারও দখল হয়ে যায়। এবারও হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বহু প্রভাবশালীর বহুতল ভবন উচ্ছেদ করা হয়নি। তবে পুরোটাই উচ্ছেদ হবে, নাকি প্রভাবশালীরা এর বাইরে থাকবে, এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ভাসমান মানুষগুলো।
স্বনির্ভর রোড এলাকার বাসিন্দা জাহানারা বেগম বলেন, উচ্ছেদের ফলে মাথা গোঁজার শেষ সম্বল শেষ। যারা বড়লোক প্রভাবশালী তাদের দালান ভাঙে না প্রশাসন ভাঙে খালি আমাগো টিনের ও পলিথিনের ঘর। গতকাল রাতে সরকারি জমির ঘরে আছিলাম আজ সরকার ভেঙে দিয়েছে। তাই পোলাপান সবাইরে নিয়ে শিশু পার্কে খোলা আকাশের নিচে রয়েছি। আমাগো তো ক্ষমতা নেই, টাকা নেই যে আদালত দিয়ে রায় আনমু। নিজের পেট চলে না কী আর করার।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাছের বলেন, আমাগো তো আর সম্পদ নাই। ভ্যান চালাইয়া সংসার চালাই। জন্মের পর থেকে নদীর তীরের এ চরে ঘর তুলে বসবাস করতাম। এখন সরকার আমাগো গরিবেরটা ভেঙে দিয়েছে। বড় লোকগোতা ভাঙে নাই।
Leave a Reply