সমাজ, জাতি তথা একটি দেশ গুটি কয় মহৎ ব্যাক্তির উজ্জল আলোকচ্ছ্বটায় আলোকিত হয়। তাঁদের কর্মে-আদর্শে চিন্তা-চেতনায়, মেধা-মননে, জ্ঞান-গরিমায় একটি জনপদ হয়ে উঠে উর্বর ও শান্তির সুনিবিড় ছায়াতল। এঁরা ক্রমশঃ আসন করে নেয় সমাজে সাধারণের সীমানা ছাড়িয়ে অসাধারণে। ছোট্ট এই জীবনে এঁরা নিজের কর্মকান্ড দ্বারা মানবিকতার স্পর্শে মানুষকে বিমোহিত করে রাখেন। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পদচিহ্ন এঁকে এক সময় এরা হয়ে উঠেন মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের ঠিকানা।
এমনই এক মানুষের জন্ম কক্সবাজার জেলার দক্ষিণে অবস্থিত উখিয়া উপজেলার অবহেলিত ফলিয়াপাড়া গ্রামে।।
আপাদমস্তক কঠিন কোমলে মোড়ানো আপোষহীন এই ব্যাক্তিটি হলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ উখিয়া উপজেলা শাখার সম্মানীত সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি নির্বাচনে পর পর তিনবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।
চাটুকারীর মিষ্টি কথা তাঁকে কখনো প্রলুব্ধ করতে পারেনা। তিনি রাজনীতি করেন মানুষের জন্য। মানুষের কল্যাণেই তিনি অধিকাংশ সময় ব্যয় করেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের নির্যাতিত-নিপীড়িত সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের খবর নিতে তিনি ছুটে যান গ্রাম থেকে গ্রামে, পথে-প্রান্তরে।রাজাপালং তথা উখিয়ার মানুষের নাড়ী-নক্ষত্রের খবর তাঁর নখ-দর্পনে।
রাজনৈতিক মেধা ও প্রজ্ঞায় অতুলনীয় এই ব্যাক্তি রাজনীতির মাঠে নীতি ও আদর্শে আপোষহীন।।
তাছাড়া গত ১০ বছরে রাস্তা-ঘাট, পথ-প্রান্তর সহ নানা অবকাঠামোগত দিক দিয়ে বর্তমান সরকারের আমলে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর হাত ধরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। পাশাপাশি শিক্ষার জন্য ওনার মতো অনুরাগী ব্যাক্তি অত্র উপজেলায় দ্বিতীয়টি নেই বললেই চলে। জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী এবং ওনার বড় ভাই জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী এই দু’জনের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্টিত হয়েছে বেশ কয়েকটি কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ মাদ্রাসা সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। এই দুই ভাই নিজস্ব অর্থায়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করে আসছেন অনেক বছর ধরে। তাঁদের পিতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম নুরুল ইসলাম চৌধুরী নিজেও একজন শিক্ষক ছিলেন তাই শিক্ষার প্রতি তাঁদের দরদ বা অনুরাগ অনেক। রাজাপালং ইউনিয়নের এমন কোন গ্রাম নেই, এমন কোন বাড়ি নেই যেখানে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর পদ ধূলীতে ধন্য হয়নি।
বিভিন্ন দুর্যোগকালীন সময়ে নিজস্ব তহবিল কিংবা সরকারি ত্রান তিনি অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিয়েছেন।
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার এক অনন্য দৃষ্টান্ত জনাব জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।। তাঁর পিতা মরহুম নুরুল ইসলাম চৌধুরীর মতো তিনিও ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সসাজের সকল স্তরে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন।
উন্নয়নের মহাযজ্ঞে সারা দেশের ন্যায় তিনি অত্র ইউনিয়নকে সঠিক কক্ষপথেই রেখেছেন। শিক্ষা-দীক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে এবং ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্টায়ও তিনি অগ্রগণ্য।
এসব কিছুর পুরুষ্কার কিংবা প্রতিদান স্বরূপ হাজারো ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে রাজাপালং ইউনিয়নবাসী স্বতঃস্ফুর্ত ভোটদানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ভোটের ব্যাবধান মহাকাব্যিক এক বিজয় উপহার দিয়েছেন।
মহাকাব্যিক এই ভূমিধ্বস বিজয় জনগণের প্রত্যাশার পারদ বৃদ্ধি পেলো বহুগণ। তাই আশা করছি জনগণের চাহিদা পূরণে তিনি পূর্বের তুলনায় আরো বেশি কাজ করবেন। জনগণের জন্য সঁপে দিবেন নিজেকে। শুভ কামনা আপনার জন্য।
লেখক:
আবদুল মালেক
সহকারী শিক্ষক
উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
Leave a Reply