ঢাকা, শুক্রবার ২৬ জুলাই ২০২৪, ০১:১২ অপরাহ্ন
ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস : সুন্দরগঞ্জের সেই ওসি প্রত্যাহার
ডেস্ক রিপোর্ট ::

গাইবান্ধার জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যা মামলার এক আসামির স্বজনের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুজ্জামানকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাকে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।

আজ বুধবার গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তৌহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে রিপোর্ট হয়েছে, তা তদন্ত করার জন্য তাকে ক্লোজড করা হয়েছে।

জানা যায়, গত বছরের ১০ এপ্রিল গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানার বাসা থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাসুদসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। অপর দুইজন আসামি হলেন- রুমেল হক ও খলিলুর রহমান। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের ওসি ও বর্তমানে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. তৌহিদুজ্জামানের সঙ্গে মামলার এক আসামির স্বজনের ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস হয়। মামলার অভিযোগপত্র থেকে এক আসামির নাম বাদ দেওয়া ও আইনের ধারা কমিয়ে দিতে টাকা লেনদেনের কথাবার্তা হয়। কথামতো কাজ না হওয়ায় টাকা ফেরত প্রদানে ফোনালাপ হয়। পাঁচ দফায় প্রায় ১৭ মিনিটের ফোনালাপ হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই ফোনালাপ ফাঁস হলে ওসি মো. তৌহিদুজ্জামানকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ঘটনার ৯ মাস ছয়দিন পর মাসুদ ও খলিলুরসহ দুইজনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৮ জানুয়ারি তিনি সুন্দরগঞ্জের ওসি হিসেবে বদলি হন। গাইবান্ধা কোর্ট পুলিশ ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে অভিযোগপত্রটি সংশোধনের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে ফেরত পাঠান। পরে গত ৭ মার্চ মাসুদ রানাসহ তিন আসামিকেই অভিযুক্ত করে আদালতে সংশোধিত অভিযোগপত্র জমা দেন ওসি মো. তৌহিদুজ্জামান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *