অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অজুহাতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা বিনা অনুমতিতে কারও ব্যক্তিগত কক্ষে প্রবেশ করতে পারেন কি—না এমন প্রশ্ন করায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের রামু বিদ্যুৎ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী এস. এম মঈনুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বুধবার সকালে রামুর রাজাকুলে গণমাধ্যমকর্মী শিপ্ত বড়ুয়ার বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ তল্লাশির নামে অতর্কিত ঢুকে পড়ে বিদ্যুৎ বিভাগের দুই কর্মী। তাদের দেখে ব্যক্তিগত কক্ষে প্রবেশের আগে অনুমতি নিয়েছেন কি—না জানতে চান শিপ্ত বড়ুয়া। ওই দুই কর্মী শিপ্তের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উল্টো তাকেই হেনস্তা করেন। একই সময়ে তাঁর কক্ষে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।
পরে, শিপ্ত বড়ুয়া তাঁর অন্য সহকর্মীদের নিয়ে রামু বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে আবাসিক প্রকৌশলী এস. মইনুল ইসলামকে ঘটনার বিবরণ দিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন।
কিন্তু সেখানেও বাধে বিপত্তি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এ সংক্রান্ত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে শিপ্তকে অকথ্য ভাষায় কথা বলছেন মইনুল। এ সময় উত্তপ্ত মইনুলকে বলতে শোনা গেছে, ‘গরম দেখাচ্ছি তো কি হয়েছে। কারও অনুমতি লাগেনা বিদ্যুৎ বিভাগের, আমি গেজেটেড কর্মকর্তা। যা করবি কর।’
শিপ্ত বড়ুয়া বলেন, ‘অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা তো দূরের কথা আমাদের এক টাকাও বিদ্যুৎ বিল বাকি নেই। প্রতিকার চাইতে গিয়ে মঈনুল ইসলাম খারাপ ব্যবহার করেছেন এমনকি একপর্যায়ে হুমকিও দিয়েছেন।’
মুঠোফোনে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এস এম মইনুল ইসলাম বলেন, ‘ফোনে আপনাদের এত কথা বলতে পারব না, কি হয়েছে বেশি জানার ইচ্ছে হলে অফিসে আসেন।’
Leave a Reply