জামালপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা মোস্তফা হাবিব (৪২)। কিছুদিন আগেও ছিলেন টগবগে কর্মঠ। একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। নির্বাহ করতেন সংসারের খরচ। এখন তিনি শয্যাশায়ী। মরণব্যাধি ক্যানসার কেড়ে নিয়েছে তার হাসি।
হাবিব উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম শংকরপুর গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে। তার এক সন্তান রয়েছে। ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর তার চাকরিটাও চলে যায়।
মোস্তফা হাবিবের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোম্পানির চাকরি করা অবস্থায় তার ডান পায়ের পেছনে একটি টিউমার হয়। টিউমারটি অস্ত্রোপচার করার পর পরীক্ষা করে ক্যানসার ধরা পড়ে। ক্যানসারের জায়গায় অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে সাতবার সার্কেল ক্যামো থ্যারাপি ও ৩৫ বার রেডিও থ্যারাপি দেওয়া হয়। এ চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনি ঋণী হয়ে পড়েছেন। জমিজমা যা ছিল সব যমুনা নদীর গর্ভে চলে গেছে। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন তাকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে।
হাবিব বলেন, বর্তমানে আমিতো আমার সংসারই চলাতে পারছি না। এ অবস্থায় চিকিৎসা করাবো কিভাবে? ঋণের টাকার জন্য পাওনাদাররা চাপ দিয়েছেন। আমি সুস্থ হয়ে আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতে চাই। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন।
Leave a Reply