ঢাকা, শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজার ভ্রমণে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ
মানবজমিন ::

কক্সবাজার ভ্রমণে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে তিন যুবক, এমন অভিযোগ পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। কক্সবাজার হোটেল- মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেল থেকে বুধবার রাত দেড়টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র‌্যাব-১৫-এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান।

ধর্ষণের শিকার নারী জানান, বুধবার সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে আসেন তারা। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে।

সেখান থেকে বিকেলে যান সৈকতের লাবণী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন যুবক তুলে নিয়ে যায়। আরেকটি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন যুবক।

পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক।

ধর্ষণ শেষে তাকে নেয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।

ওই নারী আরও জানান, জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তায় কক্ষের দরজা খোলেন তিনি। তারপর ফোন দেন ৯৯৯-এ। পুলিশ তাকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়।

তারপর পাশের একজনের সহযোগিতায় কল দেন র‌্যাবে। তারা এসে তাকে উদ্ধার করেন। তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে।

ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, সামান্য ধাক্কাধাক্কির কারণে তারা আমার এত বড় ক্ষতি করল। অপরিচিত বলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গেলেও সে জায়গা ও দুর্বৃত্তদের চিনতে পারিনি। বারবার হাতে-পায়ে ধরলেও তারা আমার স্ত্রীকে ফেরত দেয়নি। বর্বর পরিস্থিতির শিকার হয়েছি এবং বাজে অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যাচ্ছি।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫-এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করি। ছায়া তদন্ত শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত তিনজনের মধ্যে দু’জনকে শনাক্ত করেছি। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫-এর লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *