ঢাকা, শনিবার ২০ জুলাই ২০২৪, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজারে বিছানায় দুই মেয়ের লাশ, রশিতে ঝুলছেন মা
ডেস্ক রিপোর্ট ::

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন অফিস এলাকার একটি বাড়ির বিছানায় দুই শিশুসন্তানের লাশের সঙ্গে মায়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঈদগাঁও থানার পুলিশ লাশগুলোসহ বাড়িটি ঘিরে রেখেছে বলে জানিয়েছেন থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আবদুল হালিম।

তারা সিআইডির ক্রাইমসিন টিম আসার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন ওসি।

ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন অফিস কৈলাষের ঘোনাগ্রামের বাসিন্দা মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে শহিদুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘরের কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত পাওয়া যায় তার স্ত্রী জিসান আকতারকে (২৫)। বিছানায় পাওয়া যায় তাদের দুই মেয়ে সাইফা শহিদ জাবিন (৫) ও সাইফা শহিদ জেরিনের (২) লাশ। বিকাল ৫টার দিকে তাদের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নূর মোহাম্মদ জানান, শহিদুল হক ও তার ভাই জিয়াউল হক লবণের ব্যবসা করেন। বুধবার সকালে লবণ নিয়ে শহিদুল হক মহেশখালী গেছেন বলে জেনেছি। সন্ধ্যায় আমরা যখন পুলিশসহ ঘটনাস্থলে যাই তখনো শহিদুল হক কর্মস্থল থেকে ফেরেননি।

ওসি আবদুল হালিম জানান, স্থানীয় সূত্রে খবর পাই নতুন অফিস কৈলাষের ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে শহিদুল হকের বাড়িতে দুই শিশুসন্তানসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখতে পাই রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। রুমের খাটে দুই শিশুর লাশ পড়ে আছে আর মায়ের দেহটি ঝুলছিল ফ্যানের সঙ্গে। কী কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করতে সিআইডির ক্রাইমসিন টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে সবকিছু সূক্ষ্মভাবে নিরীক্ষা করে দেখা হবে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শহিদুল হক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। অল্প সময়ে ব্যবসায় সফলতা পেয়ে তার পরিবার ভালোই চলতো। কিন্তু পরিবারে কোনো ধরনের কলহ ছিল বলে জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে- মেয়েদের বিষ খাইয়ে মারার পর নিজেই ফাঁস দিয়েছেন শহিদুল হকের স্ত্রী। তবে কী কারণে, কীভাবে মর্মান্তিক এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটল এখনো তা স্পষ্ট নয়।

ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, দ্বিতল বাড়িতে জিয়াউল হক নিচে ও শহিদুল হক উপরে বাস করছেন। শহিদুলের শোবার ঘরেই মা-মেয়ের লাশগুলো দেখা যাচ্ছে। পুলিশকে লাশ উদ্ধার করতে না দিয়ে সিআইডির অপেক্ষা করছেন মেয়ের বাবার পরিবার। উল্লেখ করার মতো কোনো পারিবারিক কলহের কথা কেউ জানাতে পারছেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *