শনিবার (৯ এপ্রিল) বিকেল ৫ টায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি রুজু করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি মুনির উল গিয়াস। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়ার কবির আহমদের পুত্র সদর আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল মালেক (৪৫)।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) মায়ের জন্য ইফতার কিনতে গিয়ে চেরাংঘর বাজারে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে খুন হন পিএমখালী এলাকার মোরশেদ আলী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিশালাকার হাতুড়ির প্রথম আঘাতেই মাটিতে পড়ে যান মোরশেদ। ঘটনার আকস্মিকতা উপলব্ধি করতে পেরে হামলাকারীদের বলছিলেন, আমি রোজায় বেশি ক্লান্ত, ইফতারের সুযোগ দাও, মারতে চাইলে ইফতারের পর মারিও। কিন্তু রোজাদার বলার আকুতিও তাদের দমাতে পারেনি।

হত্যার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাবাজার এলাকার আলী আহমদ কোম্পানি জানান, বাজার করতে চেরাংঘর বাজারে পৌঁছানোর একটু পর শোরগোল শুনতে পাই। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি গেলে পিএমখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন হাজারিকে বলতে শুনি, উপরের নির্দেশে তারে (মোরশেদ) মেরে ফেলা হচ্ছে, কেউ সামনে আসবে না। যারা আসবে তাদেরও অবস্থা খারাপ হবে।

এ সময় আবদুল মালেকসহ ১৫-২০ জন স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী মোরশেদকে প্রহার ও কোপাচ্ছিলেন। সবাইকে তদারকি করছিলেন পিএমখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা আলাল। এলোপাতাড়ি মারধর ও কোপানোর ফলে মোরশেদ নিস্তেজ হয়ে গেলে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হামলাকারীরা।

এদিকে গতকাল মোর্শেদের জানাজায় গিয়ে জেলা আওয়ামীলীগ সেক্রেটারি মুজিবর রহমান ঘোষণা দিয়েছেন, হত্যাকারীরা তার দলের কেউ হতে পারে না। মামলার আসামিরা কেউ দলের অন্তর্ভুক্ত হলে তাদের বহিষ্কার করা হবে।