ঢাকা, শনিবার ২০ জুলাই ২০২৪, ০৭:০০ অপরাহ্ন
কক্সবাজারে গণশৌচাগার সংকট, নষ্ট হচ্ছে বিচের পরিবেশ
ঢাকা পোষ্ট ::

টানা তিন দিনের ছুটিতে বিপুল পরিমাণ পর্যটকের সমাগম হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। ফলে হোটেলে রুম না পেয়ে ফুটপাত, সৈকত ও বাসে রাত্রি যাপন করছেন পর্যটকরা। খোলা জায়গায় কোনো রকম রাত কাটালেও বিপাকে পড়েছেন প্রাকৃতিক কাজ করতে গিয়ে। এতে বিচের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যটকে মুখর হয়ে ওঠে। ফলে কক্সবাজারের চার শতাধিক হোটেল-মোটেলে চড়া দামেও রুম পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়েই ফুটপাতে রাত কাটিয়েছেন অনেক পর্যটক। আবার কেউ কেউ যাত্রীবাহী বাসের ভেতরে রাত কাটিয়েছেন। বাস-ফুটপাতে রাত কাটালেও শৌচাগারটি না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন পর্যটকরা।

টাঙ্গাইল থেকে এসেছেন মুমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, রাতটা কোনো মতে ফুটপাতে কাটালেও শৌচকর্ম সারতে পারেনি। ঘুরতে এসে শৌচাগার না থাকায় খুব বিপাকে পড়েছি। গণশৌচাগার না থাকায় নারীদের খুবই সমস্যা হচ্ছে।

সী গাজীপুর রিসোর্টের মালিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, কক্সবাজারে বিপুল পরিমাণ পর্যটক আসায় ফুটপাত ও সৈকততীরে রাতযাপন করছেন অনেক পর্যটক। তারা শৌচাগার না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। গতকাল থেকে আমার হোটেলের একটি টয়লেট পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। গণশৌচাগার না থাকায় মানুষজন বিচের পেছনে খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করছে। দুর্গন্ধে বিচে থাকা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, শহরে গণশৌচাগার রয়েছে মাত্র কয়েকটি। আবার অনেক সময় মসজিদের শৌচাগার ব্যবহার করলেও সেটি তালাবদ্ধ থাকায় বিচের পাড় অথবা কোনো গলিতেই শৌচকর্ম সারতে হচ্ছে পর্যটকদের। এ কারণে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা কয়েকশ নৈশ কোচ রাতে ও সকালে এসে পৌঁছে কক্সবাজারে। এ কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানজট লেগে যায়। একসঙ্গে অনেক যানবাহন আসায় সেগুলো কক্সবাজার শহরের কয়েক কিলোমিটার দূরে থামিয়েই যাত্রীদের নামিয়ে দিতে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *