ঢাকা, রবিবার ২১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩১ অপরাহ্ন
এসপি পরিচয়ে তদবির বাণিজ্য, নিজেই বানাতেন অফিস আদেশ
ডেস্ক রিপোর্ট ::

নিজেকে কখনো পুলিশ সুপার (এসপি), কখনো অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) পরিচয় দিতেন মো. মাহবুবুর রহমান (৫০)। ভুয়া এই পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন থানা ও ইউনিটে তদবির বাণিজ্য চালাতেন তিনি। শুধু তাই নয়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের ভুয়া অফিস আদেশ তৈরি করেও হাতিয়ে নিতেন মোটা অংকের টাকা।

মামলার রিপোর্ট কার পক্ষে যাবে তা নিয়েও তিনি প্রতারণা করে আসছিলেন। এমনই এক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের ভুয়া অফিস আদেশ বানিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। সোমবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডির এলআইসি ও ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের সমন্বিত একটি টিম।

jagonews24

এসময় তার কাছ থেকে পুলিশের একটি জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়। তবে প্রতারণা করে তিনি মোট কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সে ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি সিআইডি।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মতিঝিল থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের কথা বলে তদন্ত প্রতিবেদন আসামিদের পক্ষে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা নেন মাহবুবুর রহমান। এজন্য নিজেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের ভুয়া অফিস আদেশ তৈরি করে আসামিপক্ষকে দেন। পরে আসামিপক্ষ অফিস আদেশের সত্যতা জানতে সিআইডি সদরদপ্তরে যোগাযোগ করে। পরে সিআইডি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

গ্রেফতার মাহবুবুর রহমান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চাকরি-প্রত্যাশীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া ও জমির দালালিসহ বিভিন্ন প্রতারণা করে আসছেন। তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বিত্ত-বৈভবের অধিকারী হয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুক্তা ধর।

প্রতারক মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না জানতে চাইলে সিআইডির এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জড়িত থাকার বিষয়টি বেরিয়ে আসবে। যদি তার সঙ্গে কেউ জড়িত থাকে তাদেরও সিআইডি গ্রেফতার করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *