ঢাকা, শনিবার ২০ জুলাই ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন
‘এক রাতেই রাস্তা বানাল জিন’- কী বলছে প্রশাসন ও স্থানীয়রা
ডেস্ক রিপোর্ট ::

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। ঢাকার ধামরাইয়ে কৃষকের ফসলি জমিতে এক রাতেই রাস্তা বানিয়ে মানুষকে তাক লাগিয়ে দিল জিন। এলাকাবাসীর মাঝে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষজন ওই রাস্তাটি দেখতে আসেন।

রোববার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বড়নারায়ণপুর এলাকায়।

সরেজমিন জানা যায়, বালিয়া ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের খেলার মাঠ থেকে আমতা ইউনিয়নের বড়নারায়ণপুর এলাকার আহাম্মদ আলীর কৃষি খামার পর্যন্ত সদ্য একটি মাটির রাস্তা নির্মাণ করেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। এ সড়কের বড়নারায়ণপুর মো. আতাউর রহমানের সবজি খামার থেকে পশ্চিম দিকে  টাইগার ইটভাটার পাশ দিয়ে পাকা সড়ক পর্যন্ত একটি মাটির রাস্তা এক রাতেই তৈরি করেছে জিন।

সোমবার সকালে পথচারীরা রাস্তাটি দেখে হতবাক হয়ে যান। কারণ রাত ১১টা নাগাদ তারা দেখেছেন কৃষকের ফসলি জমি, আর সকালে দেখা যায় সেই স্থানে একটি মাটির তৈরি রাস্তা। রাস্তাটি কেউ বানাতে দেখেননি। এজন্য তাদের ধারণা, জিনে রাস্তাটি রাতারাতি বানিয়েছে।

খামারি আতাউর রহমান বলেন, এখান দিয়ে কোনো রাস্তাই আগে ছিল না। এক রাতেই একটি মাটির রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। নিশ্চয়ই জিন-পরীরা এ রাস্তা বানিয়েছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে এ রাস্তা নির্মাণ করা মোটেও সম্ভব নয়।

এ ব্যাপারে জমির মালিক আশক আলী বলেন, আমার জমির ফসল বিনষ্ট করে আমারই জমির মাটি দিয়ে রাস্তা বানানো হয়েছে। রাত ১১টা পর্যন্তও দেখেছি সরেজমিন। আর সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি মাটির তৈরি রাস্তা।

এ ব্যাপারে আমতা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আরিফ হোসেন বলেন, এ স্থান দিয়ে পূর্বে কোনো রাস্তা তো দূরের কথা হালটও ছিল না। আমি কোনো রাস্তা বানাইনি। খবর পেয়ে রাস্তাটি দেখে তো হতবাক। এত সুন্দর রাস্তা রাতারাতি নির্মাণ কীভাবে সম্ভব। নিশ্চয়ই এ রাস্তাটি জিন বানিয়েছে। এটা কোনো মানুষের কাজ হতে পারে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহবুর রহমান বলেন, পূর্বে এ স্থানে কোনো রাস্তা দেখিনি। কীভাবে রাতারাতি এ রাস্তা নির্মাণ হলো তা খতিয়ে দেখা হবে। বিষয়টি খুবই আশ্চর্যের।

ধামরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, লিখিতভাবে কেউ অভিযোগ জানায়নি। দুই-একজন আমাদের ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *