ঢাকা, সোমবার ২২ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন
উখিয়া পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে বন্দি গ্রাহকরা
মুহাম্মদ হানিফ আজাদ ::

উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। বিদ্যুতের লাগামহীন ভুতুড়ে বিলে বন্দি হয়ে পড়েছে বৈধ গ্রাহকরা। উপজেলার প্রায় শতাধিক অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের দায় চাপানো হচ্ছে বৈধ গ্রাহকদের ওপর। এ নিয়ে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। জানা যায়, সিস্টেম লস দেখিয়ে অতিরিক্ত বিল ও গড়বিলের নাম করে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিলের দায় চাপা হচ্ছে বৈধ গ্রাহকদের ওপর। একই সঙ্গে এসব অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে দালালদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের মাসোয়ারা। আর এসব হচ্ছে মিটার রিডারদের মাধ্যমে। সংশ্লিষ্টরা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নাই উল্লেখ করে দাবী করছেন। একাধিক ভোক্তভোগী জানায়, বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল বিষয়ে অভিযোগ করলে ডিজিটাল মিটার না লাগানোর কারণে বেশি বিল আসছে বলে জানিয়ে দেয়া হয়।

বিল বিতরণের ক্ষেত্রেও অনিয়ম রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিল গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা যথাসময়ে বিতরণ করছে না। ঘরে বসেই তারা তৈরি করছেন অতিরিক্ত বিল ও গড় বিল। ফলে ভালুকিয়ার নুরুল আলম, সৈয়দ আলম, রাজাপালং এলাকার নুরুল কবির, জসিম উদ্দিন, মহিব উল্লাহ, উখিয়ার আবু তাহের, সৈয়দ নুর, ফজল করিমসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, তাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের চাইতে অনেক বেশি বিল করা হচ্ছে। এছাড়াও কোনো গ্রাহক মিটার পরিবর্তন করতে চাইলে কাজের কাজ কিছুই হয় না। নতুন সংযোগ নিতে মিটার ক্রয়সহ নিয়ম অনুযায়ী ৩ হাজার টাকা লাগলেও ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার নিচে কোনো গ্রাহককে নতুন সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের দাবিকৃত টাকা না দিলে গ্রাহকদের চরম হয়রানি করে তারা। সোমবার উখিয়ার পূর্ব টাইপালং গ্রামের মৃত বদিউর রহমানের পুত্র শামশুল আলম জুন মাসের বিদ্যুৎ বিল দিতে ৭২২ টাকার স্থলে পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ নিয়েছে ৮৩০৪ টাকা। তিনি বলেন, উখিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ যে ভাবে গ্রাহকদের হয়রানি করছে তা মেনে নেয়া যায় না।

এ ব্যাপারে উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ’র ডিজিএম সরওয়ার মোর্শেদ বিষয়টি দেখবেন বলা হলেও অভিযোগ নিয়ে তার অফিসে গেলে শামশুল আলমকে তাড়িয়ে দেয়। উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ এর অধিনে আবাসিক ও বানিজ্যিক ৬৭ হাজার গ্রাহক রয়েছে। সেচ গ্রাহক রয়েছে ১৮ শত। এ পর্যন্ত উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎতের প্রায় ১০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে ডিজিএম জানিয়েছেন। গ্রাহকরা জানান মনগড়া বিদ্যুৎ বিল করার কারণে এ দশা হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎতের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *