ঢাকা, শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
উখিয়ায় বিট কর্মকর্তা, রেঞ্জ অফিস ম্যানেজ করেই চলছে বালি উত্তোলন !
সরওয়ার আলম শাহীন :

স্থানীয় বিট কর্মকর্তা,ভিলেজার ও উখিয়া রেঞ্জ অফিস ম্যানেজ করেই চলছে বালি উত্তোলন। চারিদিকে যেন বালি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট একটি মাত্র অংশ ইজারার নাম দেখিয়ে বালি উত্তোলন করছে বিশাল এলাকা জুড়ে। ফসলি জমি এছাড়াও পাহাড় গুলো পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না বালি উত্তোলন কারী সিন্ডিকেটের কবল থেকে। পাহাড়গুলো কাটতে কাটতে বিশাল গর্তে পরিণত হয়েছে। পাহাড়গুলোর নিস্তার নেই। পাহাড়গুলো কাঁদছে। পাহাড় গুলো অসহায় হয়ে পড়েছে বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের কাছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও সরকার দলীয় লোকজনের ছত্রছায়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালীর তেলখোলা মোছার খোলা এলাকায় অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন চলছে। সম্প্রতি থাইনখালীতে বনবিভাগ অভিযান পরিচালনা করলেও থেমে নেই বালি উত্তোলনের মহোৎসব। থাইনখালী মসজিদের সামনে অফিস স্থাপন করে তাতে ডাম্পার প্রতি প্রকাশ্যে টোকেন নিয়ে বালি বানিজ্য চালিয়ে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। পালংখালী ইউনিয়ন ছাড়াও রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা , তুতুরবিল,দুছড়ি এলাকায় স্থানীয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যাপক হারে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে প্রভাবশালী মহল । কোটি কোটি ঘনফুট বালি উত্তোলন করে মজুদ করা হয়েছে। ফসলের জমি ছাড়াও পাহাড় গুলো কেটে বালিতে পরিণত করা হচ্ছ। এখনেও বিট কর্মকর্তা  ডাম্পার গাড়ি প্রতি কমিশন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

পালংখালী ইউনিয়নের থাইনখালিতে এভাবে ডাম্পার দিয়ে বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ।

স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় বিট কর্মকর্তা ও ভিলেজারের সাথে বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের চুক্তি রয়েছে। তাই তারা বাধা দিতে নয়, বরং টাকা নিতে এলাকায় আসে বলে জানালেন স্থানীয় কয়েকজন মুরুব্বী। এ টাকার একটি ভাগ উখিয়া রেঞ্জ অফিসকে দিতে হয় বলে জানা গেছে।
উপজেলার থাইংখালী খাল, বালুখালী, গয়ালমারা, হাজিরপাড়া, দোছরী সহ ১৫টি স্পট থেকে নির্বিচারে বালি উত্তোলন করে কোাটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান কার্যক্রম পরিচালনায় ভাটা পড়ায় জন সাধারণ প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে বসবাস করছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে আরো কার্যকর ও আন্তরিক ভূমিকা নিয়ে জনসেবা করতে এগিয়ে আসতে হবে বলে সচেতন মহল জানান।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সভাপতি সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, নির্বিচারে বালি দস্যুরা অবৈধ ভাবে খাল, ছরা, নদী, নালা থেকে বালি উত্তোলনের ফলে পানি সংকট সহ পরিবেশ দুষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, আইন শৃংখলা বাহিনীর সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে জেলা ব্যাপী পাহাড় কাটা, বালি উত্তোলন ও পরিবেশ দুষনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্পব্যবস্থা নেওয়া হলে এলাকা ও পরিবেশ দু’টোই রক্ষা পাবে বলে তিনি মনে করেন।পা

লংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন,থাইনখালীর খালের অদুরে  গভীর বনে ড্রেজার মিশিং বসাইয়া কোটি কোটি ফুট বালু এভাবে জমা করে ড্রাম ট্রাকদিয়ে প্রত্যান্ত অঞ্চলে নিয়ে যাচ্ছে বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট।

উখিয়া বন‌বিভা‌গের গাজী শফিউল আলম জানান, সম্প্রতি থাইংখালী ও দুছড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করে পিওআর মামলাও করা হয়েছে। এবং উত্তোলিত বালুতে লবন দিয়ে গুনগত মান নষ্ট করে দেয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহামদ জানান, পরিবেশ ধংসকারী অবৈধ কর্মকান্ড প্রতিরো‌ধে স্থানীয়দের এ‌গি‌য়ে আস‌তে হ‌বে। তি‌নি ব‌লেন, ই‌তিম‌ধ্যেই পাহাড়কাটা অ‌বৈধভা‌বে বা‌লি উ‌ত্তোলন করে  প‌রি‌বেশ ধংসকা‌রি অ‌ভিযুক্ত‌দের বিরু‌দ্ধে আইনানুগ ব‌্যবস্থা নেওয়া হ‌য়ে‌ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *