ঢাকা, শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
উখিয়ার নির্বাচনে কঠোর প্রশাসন, রোহিঙ্গাদের বাইরে যেতে মানা
রফিকুল ইসলাম, উখিয়া ::

প্রশাসনিক ও গোয়েন্দা নজরদারি, সাথে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের চাদরে ঢেকে ফেলা হচ্ছে আগামী কালকের উখিয়ার ৫ ইউপি নির্বাচন।

রোহিঙ্গা আশ্রয়স্থল হওয়ায় নির্বাচন কমিশন উখিয়ার ইউপি নির্বাচনে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্হা নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের বাহিরে যাতায়াত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
আগামীকাল ১১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় ধাপে উখিয়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে। ভোটকেন্দ্র দখল, ভোটারদের ভোট দিতে বাধা, ভোটকেন্দ্রে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় প্রশাসন এবার কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইরফান উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটাররা নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন। সকলকে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগের আহবান জানান তিনি।
উখিয়ার পালংখালী ও রাজাপালং ইউনিয়ন দু’টির অবস্থান ২৫ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দিয়ে কেউ কেউ ভোট কেন্দ্র দখলের আশংকা জানিয়ে কমিশনে অভিযোগ করেছে।
এ প্রেক্ষিতে ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ব্যবহার করে শান্তি শৃংখলা বিনষ্ট সম্ভাবনায় ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের বের হওয়া কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একই তারিখে ভিন্ন পত্রে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক উখিয়ায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ১৫ জন অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট নিয়োগ প্রদান করেছেন। অন্য এক পত্রে সুষ্ঠু নির্বাচনে নিয়মিত আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি অতিরিক্ত আইন শৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করেছে।
এরমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার ব্যাটালিয়ান সমম্বয়ে ১০ টি মোবাইল টিম ও ৫ টি স্টাইকিং টিম, ৬ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪ টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে বলে নির্বাচন অফিসার জানান।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার উখিয়ার ৫ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ভোটার সাধারণের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে। উখিয়ার ৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও স্বতন্ত্র, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী সহ ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *