ঢাকা, শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন
উখিয়ার থাইনখালীতে আবারো অবৈধ বালি উত্তোলন শুরু
সরওয়ার আলম শাহীন :

কয়েকমাস বন্ধ থাকার পর স্থানীয় বিট কর্মকর্তা,ভিলেজার ও উখিয়া রেঞ্জ অফিস ম্যানেজ করে আবারো বালি উত্তোলন শুরু করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। উক্ত বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট একটি মাত্র অংশ ইজারার নাম দেখিয়ে বালি উত্তোলন করছে বিশাল এলাকাজুড়ে। ফসলি জমি ছাড়াও পাহাড়গুলো পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের কবল থেকে। পাহাড়গুলো কাটতে কাটতে বিশাল গর্তে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও সরকার দলীয় লোকজনের ছত্রছায়ায় থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালীর তেলখোলা, মোছার খোলা এলাকায় অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। পালংখালী ইউনিয়ন ছাড়াও রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা , তুতুরবিল,দুছড়ি এলাকায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যাপক হারে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে প্রভাবশালী মহল ।

জানা যায়, উখিয়ার থাইনখালী বিট কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় স্থানীয় সোনালী,থাইংখালীর সাবেক মেম্বার জয়নাল , আব্দুর রশিদ,, জুনু, জুয়েল, এজাহার মিয়া, সিকান্দর, তোফাইল, লালুসহ অর্ধশতাধিক বালি ব্যবসায়ী প্রতিদিন অবৈধ বালি উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। তারা বালি মহাল ইজারার নাম ভাঙ্গিয়ে পাহাড় কেটে নির্বিচারে বালি উত্তোলন করছে।
স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীর বাধার কারণে কয়েক মাস অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ ছিল। এসময়ে সিন্ডিকেট সদস্যরা যে যার মতো করে বিভিন্নভাবে তদবির চালিয়ে আসছিল। অবশেষে সিন্ডিকেট সদস্যরা প্রশাসনের সর্বস্তর ম্যানেজ করে জানুয়ারীর ১৫ তারিখ থেকে আবারো পুরোদমে বালু উত্তোলন শুরু করেছে।

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম,গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, থাইনখালী এলাকার বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটটি প্রভাবশালী। আমি বেশ কিছুদিন বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলাম। কিন্তু বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট এতই প্রভাবশালী যে তাদের থামানো যায়নি। কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে কক্সবাজারের বন প্রশাসন, উখিয়া রেঞ্জ অফিস সহ প্রসাশন ও স্থানীয় বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই তারা এসব কাজ করছে। ফলে আমি আর বাধা দিচ্ছি না, তারা নিয়মিত আগের মতোই বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে থাইনখালী বিট কর্মকর্তা রাকিব হোসেন বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের সাথে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি যোগদান করার পর থেকে বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে বেশকিছু স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাম্বারসহ মেশিন জব্দ করেছি।
এ ব্যাপারে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন, কক্সবাজার জেলা বনবিভাগ, আমার অফিস ও স্থানীয় বিট কর্মকর্তা বালি উত্তোলনের সাথে কোনভাবেই জড়িয় নয়। এটা আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। আমরা নিয়মিত অভিযানের মধ্যেই আছি। দিনে রাতে বিশ্রাম পর্যন্ত নিতে পারছি না । আমরা আমাদের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *