উখিয়া উপজেলায় বনবিভাগের সাথে চুক্তি করেই চলছে পাঁচ শতাধিক অবৈধ ডাম্পার। এর মধ্যে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের খয়রাতি পাড়া গ্রাম থেকে শুরু করে হরিণ মারার গ্রামাঞ্চলের পাহাড় গুলো একে একে নিঃশ্বাস করছে চল্লিশটি অবৈধ ডাম্পার।
জানা যায়, স্থানীয় বিট কর্মকর্তা ভিলেজার ও হেডম্যানের চুক্তি করেই কাটছে পাহাড়গুলো। এসব ডাম্পার নির্বিচারে বালু উত্তোলন কাজেও নিয়োজিত রয়েছে। এসব ডাম্পারের প্রতিটি থেকে মাসোহারা নিচ্ছে স্থানীয় কর্মকর্তারা। এইসব ডাম্পার মালিকদের মধ্যে কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে যাদের মধ্যে রয়েছেন করিব আহম্মদ,সৈয়দ করিম,রেজা, জহির, মাহমুদুল হক,গফুর, আক্তার,বদি আলম সহ আরও ৩৮ জন। এটা ছাড়াও উপজেলায় আরো বেশ কয়েকটি ডাম্বার সিন্ডিকেট রয়েছে। যাদের সাথেও বনবিভাগের মাসিক চুক্তি রয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানা গেছে,হরিণমারা এলাকায় নির্বিচারে বালি উত্তোলন চলছে। পাশাপাশি চলছে বাধাহীন পাহাড় কাটা। ভিলেজার হেডম্যানরা ডাম্বার মালিকদের কাছে পাহাড় গুলো বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। একদিকে চলছে অবৈধ বালি উত্তোলন অন্যদিকে চলছে পাহাড় কাটা।
স্থানীয় ভিলেজার হেডম্যানরা ডাম্বার মালিকদের বাধার পরিবর্তে সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে স্থানীয় জনগণের অভিযোগ। স্থানীয়দের মতে,মিলেমিশেই তারা এসব কাজ করছে তাই এসব বলে কি লাভ এমনটাই অভিব্যক্তি স্থানীয় আব্দুর রহিমের।
তিনি জানালেন,অনেক বলেছি। খবর দিয়েছি স্থানীয় বিট কর্মকর্তাকে। কিন্ত এমনও দেখা গেছে, তিনি পাহাড় কাটার স্থানে এসেছেন, এসে ডাম্বার মালিকদের সাথে চা খেয়ে আবার চলে গেছেন। তাই বুঝতে বাকি থাকে না ডাম্বার মালিকদের সাথে আমাদের চেয়ে তাদের সম্পর্ক ভালো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , হিজলিয়া সড়ক দিয়ে ঢুকে ৪০ টি অবৈধ ডাম্পার দিনে রাতে পাহাড়ের মাটি ও বালি পাচার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এসব ডাম্বার শুধুমাত্র বন প্রশাসন ম্যানেজ করেই চলাচল করছে। যে যেখানে পারছে বালি মজুত করছে। হিজলিয়া থেকে শুরু করে হরিনমারা হয়ে খয়রাতি পাড়া পর্যন্ত সড়কের দু পাশে মজুত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বালি। এমন কোন জায়গা নেই যেভাবে বালির মজুত নেই। স্থানীয় বিট কর্মকর্তা রয়েছেন নামকাওয়াস্তে। তিনি ডাম্বার মালিকদের সাথে কোন বিরোধে যাননা বলেও জানা গেছে।
একজন ডাম্পার মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেন,বর্তমান বিট কর্মকর্তা খুব ভালো লোক, কোন বাধা দেননা। তেমন কোন চাহিদা নেই, যা দিই তাই নেন।
এ ব্যাপারে জানতে দুছড়ি বিট কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোন ডাম্বার থেকে অনৈতিক সুবিধা নেননি কোনদিন। প্রতিনিয়ত পাহাড় খোকা ও বালি উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। কারো থেকে কোন ধরনের সুবিধা নিয়েছি এরকম কেউ বলতে পারবেনা। ইতিমধ্যে বালি উত্তোলনের মেশিনসহ অবৈধ ডাম্বার জব্দ করেছি।
Leave a Reply