ইউক্রেনের বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলায় নিহত নাবিক হাদিসুর রহমান আরিফের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। বুধবার রাত ১১টার দিকে স্বজনদের কাছে হাদিসুরের নিহতের খবর পৌঁছেছে। নিহত নাবিক হাদিসুরের বাড়ি বরগুনা বেতাগী উপজেলার ৩ নম্বর হোসনাবাদ ইউনিয়নে। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা মো. রাজা হাওলাদারের ছেলে।
নিহত হওয়ার খবর পরিবারের কাছে পৌঁছানো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাদিসুরের চাচা বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান। তিনি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি থেকে খবরটি হাদিসের পরিবারকে জানানো হয়েছে।
নিহত নাবিক আরিফের চাচা ফোরকান বলেন, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট সাজিদ হোসেনের মাধ্যমে তাঁরা জেনেছেন, বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মারা গেছেন। এ খবরে হাদিসের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।
বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে আটকে পড়ে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। জাহাজটিতে ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিক ছিলেন। জাহাজটি বর্তমানে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দর চ্যানেলে নোঙর করা আছে। রকেট হামলার পরে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়।
সেখান থেকে কার্গো নিয়ে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল। তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেয় শিপিং করপোরেশন। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজটি। এরপর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
Leave a Reply