দেশ থেকে অর্থপাচার বন্ধ এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে কবে, কোথায়, কীভাবে জানানো হবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
অর্থমন্ত্রী এও বলেছেন, আমি অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারব না। ব্যবস্থা নেবে আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্নিষ্ট সংস্থাগুলো।
পাচারকারীদের সম্পর্কে জানতে অর্থমন্ত্রীর নিজস্ব কোনো পদ্ধতি রয়েছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার নিজস্ব কোনো পদ্ধতি নেই। পদ্ধতি রয়েছে সরকারের। কেউ পাচার করলে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়, তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে নেওয়া হয়। বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়।
বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়ালি ব্রিফিংয়ের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে অর্থ পাচারকারীদের কোনো তালিকা নেই। বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের কাছে পাচারকারীদের তালিকা চান তিনি।
এর কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, পত্রপত্রিকায় অর্থপাচারকারী হিসেবে কিছু নাম এসেছে। যাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্নিষ্ট সংস্থা কাজ করছে। আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। গত দুইবছরে অর্থপাচার বন্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার অগ্রগতি কী এবং কতজন শাস্তি পেয়েছে, সে তথ্য তুলে ধরা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখনও স্থিতিশীল নয়। ওঠানামা করছে। কোনোদিন জ্বালানি তেলের দাম ২০ ডলার কমে, পরের দিন ২ ডলার বাড়ে। যখন তেলের দাম কমে স্থিতিশীল হবে, তখন সরকারও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন বাংলাদেশে এখনও সংক্রমিত হয়নি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, যদি এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে এবং তাতে দেশের মানুষ ও অর্থনীতির ওপর কোনো প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে তা মোকাবিলায় অতীতের মতো সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Leave a Reply