ঢাকা, রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝিরা আতঙ্কে ‘ব্লক রেইড’ শুরু
উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

জোড়া খুনের পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি ও সাব-মাঝিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের পর ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুরু হয়েছে ব্লক রেইড। এ ছাড়া টহলও জোরদার করা হয়। জামতলী ক্যাম্পের ১২০ মাঝিকে নিয়ে গতকাল বৈঠক করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। এ ছাড়া ক্যাম্পের সন্ত্রাসীদের তালিকাও হালনাগাদ করা হয়েছে।

পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, কোন সূত্র থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র যাচ্ছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে অস্ত্র সরবরাহকারী কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই  রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনায় উখিয়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন নিহত আবু তালেবের স্ত্রী তৈয়বা খাতুন (৩০)। বৃহস্পতিবার রাত ১টায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে সাত-আটজনকে অজ্ঞাতপরিচয় দেখিয়ে এ মামলাটি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, জামতলি এফডিএমএন ক্যাম্প-১৫-এর সি ব্লকের হেড মাঝি আবু তালেব (৫০) এবং সাব-মাঝি সৈয়দ হোসেনের (৪৩) নিহত হওয়ার ঘটনায় বাদীর দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

এজাহারনামীয় আসামিরা হলো জাফর আলমের ছেলে মাহামুদুল হাসান (২৭), সোনা আলীর ছেলে সাহ মিয়া (৩২) ও তার ভাই আবুল কালাম ওরফে জাহিদ আলম (২৫), রশিদ আহম্মেদের ছেলে জাফর আলম (৫৪) ও তার ছেলে মো. সোয়াইব। তারা সবাই জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করে।

পূর্ব শত্রুতার জেরে এই ডাবল মার্ডারের সঙ্গে আবুল কাশেমের ছেলে সাব-মাঝি রেজাউল আলম (৪২), জাফর হোসেনের ছেলে সাব-মাঝি মো. ইয়াছিন এবং ইসমাঈলের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩২) জড়িত থাকার সন্দেহ রয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র জানায়, গুলিবিদ্ধ আবু তালেব মৃত্যুর আগে জবানবন্দিতে মাহমুদ হাসান ও জাফর আলমসহ আরও কয়েকজন মিলে তাঁদের গুলি করেছে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *