জোয়ারের পানিতে অনুষ্ঠানস্থল তলিয়ে যাওয়ায় ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ার, বদলে যাওয়া কক্সবাজার’র নির্ধারিত আয়োজন সৈকতের লাবণী পয়েন্টে করা সম্ভব হয়নি। বালুচরে নির্ধারিত স্থানের পরিবর্তে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রেই প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান করা হয়েছে।
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ার, বদলে যাওয়া কক্সবাজার’ প্রতিপাদ্যে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সৈকতের লাবণী পয়েন্টে এটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২৭ মার্চ রাতের জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় অনুষ্ঠানস্থল তলিয়ে যায়। দিনের জোয়ারেও একইভাবে পানি বেড়েছে। ফলে স্থান পরিবর্তন করে দিনের আয়োজনগুলো কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রেই চালিয়ে নেওয়া হয়।
জাতীয় পর্যায়ের এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, স্যাটেলাইট, টানেল, সাবমেরিনসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্পের ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন অনুষ্ঠানটি দুই পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রথম পর্বটি সকালে কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্ট প্রান্তে হওয়ার কথা থাকলেও জোয়ারের পানিতে অনুষ্ঠানস্থল তলিয়ে থাকায় সেখানে করা যায়নি। সকালের অনুষ্ঠানটি কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে করা হয়েছে। এসময় মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা, স্বাগত বক্তব্য ও উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বিষয়ে ডকুড্রামা প্রদর্শন করা হয়। এরপর বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদার কবিতা আবৃত্তি, স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গান ও পল্লী সংগীত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে স্কুল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিকেলে স্কুল পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ এবং স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পর্ব রয়েছে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে গণভবন থেকে এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হবেন। এরপর সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশনা ও ‘জোরসে চলো বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্থানীয় উন্নয়নের ওপর উপস্থাপনা করবেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মন্ত্রীদের উপস্থাপনার পর উন্নয়নে সুবিধাভোগীরা বক্তব্য রাখবেন। এরপর সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান অতিথি হয়ে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশনা, আতশবাজি ফোটানো এবং ‘ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ ও ‘চিরকুট’ এর সংগীতানুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী এ জমকালো আয়োজন শেষ হবে।
অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল লাইভ সম্প্রচার করবে।
Leave a Reply