বাছাইপর্বের বাধা পেরোতে না পারায় রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ে ইতালি। আজ্জুরিদের সেই আক্ষেপ মোচন হয় ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা হয় ইউরো সেরা। তবে ইতালির চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সেই আনন্দ ক্রমশই রূপ নিচ্ছে বিষাদে। শঙ্কা জেগেছে কাতার বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে। প্লে-অফ বাধা টপকাতে না পারলে বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না ইতালি। পরপর দু’বার বিশ্বকাপে দেখা যাবে না ইতালিকে, বিষয়টি মানতে পারছেন না দেশটির সাবেক তারকা ডিফেন্ডার ফ্যাবিও কানাভারো।
কাতার বিশ্বকাপের ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে ‘সি’ গ্রুপে রানার্সআপ হওয়ায় ইতালিকে প্লে-অফে খেলতে হচ্ছে। এই অঞ্চলের বাছাইয়ে ১০ গ্রুপের শীর্ষ ১০ দল সরাসরি পেয়েছে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট।১০ গ্রুপের রানার্সআপ ও নেশন্স লীগের সেরা দুই গ্রুপ জয়ী মিলে হবে ১২ দলের প্লে-অফ। সেখান থেকে আরো তিনটি দল সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে।
প্লে-অফের ‘সি’ গ্রুপের সেমিফাইনালে আগামী বৃহস্পতিবার নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে খেলবে ইতালি। এই ম্যাচের বিজয়ী দল পাঁচদিন পর খেলবে পর্তুগাল ও তুরস্কের মধ্যকার আরেক সেমিফাইনাল জয়ী দলের বিপক্ষে। ওই ম্যাচের বিজয়ী পাবে বিশ্বকাপের টিকিট। প্লে-অফের এই গ্রুপ থেকে ইতালি বা পর্তুগালের মধ্যে একটি দলের বাদ পড়াটা তাই নিশ্চিত। ফলে বিশ্বসেরার মঞ্চে দেখা যাবে না ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সবশেষ দুই আসরের এক চ্যাম্পিয়নকে।
ইতালির হয়ে ২০০৬ বিশ্বকাপ জেতা কানাভারো মনে করেন, টানা দুই বিশ্বকাপে জায়গা করতে না পারাটা তাদের জন্য বড় বিপর্যয়। কানাভারো বলেন, ‘আমাদের ও কাতার বিশ্বকাপ খেলার মধ্যে পর্তুগাল সবচেয়ে বড় বাধা। কিন্তু তুরস্কও পার্কে হাঁটতে আসবে না (তুর্কিদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বোঝাতে)। আর এমনকি পালারমোতে নর্থ মেসেডোনিয়াকেও হারাতে হবে।’
‘আমরা নিজেদের সুযোগ সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ফেলে এসেছি। কোনোভাবেই আট বছর বিশ্বকাপ না খেলা ইতালি হজম করতে পারবে না। এটা সবার জন্য হবে বিপর্যয়। মানচিনি খুঁজে বের করবে বিশ্বকাপে যাওয়ার পথ।’
রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার পর ২০১৮ সালে ইতালির কোচ হন মানচিনি। তার হাত ধরেই ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয় আজ্জুরিরা।
বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিতের পথ যে সহজ হবে না, সেটি ভালোই জানা আছে মানচিনির। তবে ইউরো সেরা হওয়াই এই কোচের আত্মবিশ্বাসের রসদ। মানচিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম ম্যাচটা জিতেই যাবো এমনভাবে নিলে হবে না। এটা সহজ হবে না আর যদি আমরা জয় পাই, ফাইনালের জন্য তৈরি হতে সময় পাবো মাত্র ৪ দিন। আমরা শক্ত একটা ভিত্তি তৈরি করেছি। আমরা ইতিবাচক আর আমাদের অবশ্যই ভাবতে হবে যে সবকছিু ভালো হবে। সামনে দুইটা কঠিন ম্যাচ। আমাদের এখানে থাকার কথা ছিল না। কিন্তু কখনো কখনো ভুগতে হয়।
Leave a Reply