ঢাকা, রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন
খালাস চেয়ে ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের আপিল
ডেস্ক রিপোর্ট ::

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীর খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছেন। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিম্ন আদালতের ফাসির আদেশ থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়েছে। গতকাল সোমবার আপিলটি ফাইল করা হয়েছে। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাশেদ খান হত্যা মামলায় আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফেরেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়। তিনি জনান, আবেদনে আমরা বলেছি বিচারিক আদালত তার বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছেন তা তাড়াহুড়ো করে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচার বিশ্লেষণ করে হয়নি। আমাদের আপিলটি শুনানি করে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করার আর্জি জানিয়েছি।

গত ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ৩০০ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়া শেষে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। রায় পড়ার সময় বিচারক বলেন, সিনহার পরিচয় জানার পর স্যালুট দিয়েছিলেন চেকপোস্টে থাকা সদস্যরা। এর একটু পর তাঁরাই কেন আবার গুলি করতে সহযোগিতা করলেন? এই হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত।

এ মামলায় আদালত লিয়াকত ও প্রদীপ কুমারের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন এবং ৬ জনকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। বাকি সাত আসামিকে খালাস দেন। পরে প্রদীপ ও লিয়াকতকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গাজীপুর কাশিমপুরে আনা হয়েছে।

কাশিমপুর কারাগারের হাইসিকিউরিটি পার্ট-৪ এর কনডেম সেলে তাদের রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি এবং রামু থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদি হয়ে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি টেকনাফ থানায় নথিভূক্ত করার পর আদালত তদন্তভার দেন র‌্যাবকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *