ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
রায়ের পর ওসি প্রদীপের বাড়ির অবস্থা
ডেস্ক রিপোর্ট ::

দেশব্যাপী আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় আসামি প্রদীপ কুমার দাশের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঘোষিত রায়ে মামলার প্রধান আসামি পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকতকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ রায় ঘোষণার পর সোমবার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ দাশের গ্রামের বাড়ি ছিল সুনসান। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের উত্তর কঞ্জুরী গ্রামে। এ রায় নিয়ে উপজেলাজুড়েই ছিল চাপা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। মামলার রায় শুনতে ওই দিন সকাল থেকেই উপজেলার মানুষের নজর ছিল টিভির পর্দায়। অবশ্য রায় নিয়ে এলাকার কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে মামলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ওসি প্রদীপের পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। প্রদীপের এমন কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী তাদের ভালো চোখে দেখছেন না।

প্রদীপের বড় ভাই রণজিত দাশ গণমাধ্যমকে বলেন, কারো একার অপরাধের দায় তো সবাই নিতে পারে না। তবু আত্মীয়স্বজন সবার কাছে হেয়প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে আমাদের। এছাড়া ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়ায় তাদের খেসারত গুনতে হচ্ছে।

এদিকে রায় ঘোষণার পরপরই এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, অপরাধ করলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

উত্তর কঞ্জুরী গ্রামের মৃত হরেন্দ্র দাশের পাঁচ ছেলের মধ্যে প্রদীপ দাশ চতুর্থ। হরেন্দ্র দাশ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (সিডিএ) চাকরি করতেন। প্রদীপ দাশ পড়াশোনা করেন চট্টগ্রাম শহরে। তার স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এর পর নিহতের বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। র‌্যাব-১৩ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ১৮ মাস পর সোমবার ৩১ জানুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণা হয় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল জনাকীর্ণ আদালতে মামলা দায়ে মামলার প্রধান আসামি পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে মৃত্যুদণ্ড, অপর ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও বাকি সাত আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *