ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন
‘লিয়াকতই সিনহাকে খুন করেছে’, বললেন ওসি প্রদীপ
ডেস্ক রিপোর্ট ::

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় পুলিশের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে দায়ী করেছেন টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ। একইসঙ্গে বিচারকের কাছে নিজের প্রতি সদয় হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। আজ বুধবার আদালতে যুক্তিতর্ক চলাকালে ১০ মিনিট সময় প্রার্থনা করে ওসি প্রদীপ এ অনুরোধ জানান।

এজলাসে উপস্থিত এক আইনজীবী এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ দিনে ওসি প্রদীপ কুমার দাশের পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যুক্তি খণ্ডন করার সময় আদালতে ১০ মিনিট সময় প্রার্থনা করেন প্রদীপ কুমার দাশ। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘স্যার (বিচারক) মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহাকে খুন করেছে পরিদর্শক লিয়াকত। এটা আমি স্পষ্ট জানি। আমার প্রতি আপনি সদয় বিবেচনা করবেন।’

প্রতি উত্তরে বিচারক জানতে চান, ‘আপনি (প্রদীপ) জেনে থাকলে সেটা জবানবন্দিতে বলেননি কেন? এখন মামলা রায়ের পর্যায়ে। এখন এসব

এদিকে যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক মোহাম্মদ ঈসমাইল হোসেন সিনহা হত্যা মামলার রায়ের জন্য ৩১ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন। ওইদিন এ মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে খুন হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনার পাঁচদিন পর ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্তের পর ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২৭ জুন ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর গত ২৩ আগস্ট কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়ে শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। যেখানে ৬৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *