কক্সবাজারের উখিয়ায় রত্নাপালং ইউনিয়নে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার নিরসনের লক্ষে ১৬ দিনের জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচি পালন করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং তাদের সহযোগী পার্টনার এনজিও পালস বাংলাদেশ।
রবিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ঝাউতলাস্থ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সহযোগিতায় এনজিও পালস বাংলাদেশের উদ্যোগে আশার আলো নামক কিশোরী ক্লাবে দিবসটি পালন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) এর চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা।
এসময় তিনি বলেন, সমাজে নারী ও কন্যা শিশুদের নারী হিসেবে না দেখে বা অবহেলার পাত্র হিসেবে না দেখে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। কারণ সমাজকে পরিবর্তন করতে হলে প্রথমে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে।
নারীদের অবস্থান নিজেদেরকে তৈরী করে নিতে হবে, নারীরাই সমাজকে আলোকিত করতে পারে। পিতা-মাতার আদর্শ সন্তান হিসেবে একজন নারী পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই তিনি নারীদের সমাজের বোঝা না হয়ে সমাজ পরিবর্তন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার হিসাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তিনি আরোও বলেন, সমাজে এখনও পিতা-মাতারা নিজেদের কন্যা শিশুদের নিজেরাই জোর করে বাল্যবিবাহ দিয়ে দিচ্ছে। যা সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম বাধা। তাই তিনি পিতা-মাতাদের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের আহ্বান জানান।
এসময় আশার আলো কিশোরী ক্লাবের শিশু, কিশোরী, অভিভাবকদের আয়োজনে এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
সমাজের পিছিয়ে পড়া নারী ও কিশোরীদের সহিংসতাকে রুখে দিতে দেশি-বিদেশি উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা গুলো জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষে প্রতি বছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ দিনের কর্মসূচি হিসাবে নারী সহিংসতা নির্মূলের জন্য আন্তর্জাতিক ভাবে দিবসটি পালিত হয়।
Leave a Reply