নিহত যুবক চার সন্তানের জনক টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড উত্তর নাজির পাড়া এলাকার মৃত মাজেদ আলীর পুত্র। তিনি দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের তুলাগাঁও গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন।
কুমিল্লায় থাকা নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী নাজিয়া আক্তারের বরাত দিয়ে দেবিদ্বার থানা পুলিশ গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছে, তার স্বামী মুছা আলী বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরিচিত একজনের মোবাইলে ফোন পেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাত ৯টার দিকে ভিকটিমের মোবাইল থেকে তার স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করে এক ব্যক্তি জানায়, তার স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। টাকা দিলে ১০ মিনিট পর ছেড়ে দেয়া হবে। এ কথা বলে অপহরণকারীরা একটি বিকাশ নাম্বার দেয়। উক্ত নম্বরে ৩০ হাজার টাকাও পাঠানো হয়। অবশেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা মুছা আলী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বলে খবর পায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনাস্থলের স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছে, বুধবার রাত ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক মুছা আলীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর তার শোর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী রাজিয়া আক্তার জানান, কক্সবাজারের-উখিয়া জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন একটি দোকান আছে তাঁর। সে ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে কাপড়, জুতা ও কসমেটিকস ক্রয় করে উক্ত দোকানে বিক্রি করতেন। বুধবার রাতে সোহেল নামের পরিচিত এক ব্যক্তির ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। সোহেল নামের উক্ত ব্যক্তিও তার সহযোগীরা তার স্বামীকে অপহরণ করেছে বলে প্রথমে ১০ লাখ টাকা চেয়েছিল। পরে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তাদের দেওয়া একটি বিকাশ নম্বরে ৩০ হাজার টাকা পাঠায়। তবে তাদের চাহিদা মত মুক্তিপণ না পাওয়ার কারণে তার স্বামীকে হত্যা করেছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply