উখিয়ায় একের পর এক পাহাড় কর্তন যেনো থামছেই না। পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ ছাড়াই পাহাড় কাটছে প্রভাবশালী মহল। দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ আইন অমান্য করে উখিয়ার হলদিয়াপালং বিভিন্ন এলাকায় সিন্ডিকেট করে রাতের আঁধারে পাহাড় কেটে সাবাড় করছিলেন হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহাজাহান। সন্ধ্যা হতেই চলাচল শুরু করে মাটিভর্তি ট্রাক। চলে রাতভর। মাটিবাহী ট্রাকের প্রভাব পড়ছে সড়কগুলোতেও। অনেক সময় উন্নয়নকাজের দোহাই দিয়ে প্রকাশ্যেই চলেছে তার এই পাহাড় কাটা।
সর্বশেষ ২১ জানুয়ারি (রোববার) খবর পেয়ে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে মাটি কাটার সময় শাহাজাহান মেম্বারের মালিকানাধীন ড্রাম ট্রাক আটক করেছে বন বিভাগ। তবে পাহাড় কাটার ঘটনায় শাহজাহান মেম্বার নিজেই নেতৃত্ব দিলেও তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি এখনো। এদিকে খবর পাওয়া গেছে তাকে মামলা থেকে বাদ দিয়ে গাড়ী ছাড়িয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছে একটি বিশেষ মহল। তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
এ বিষয়ে জানতে ড্রাম ট্রাক মালিক শাহজাহান মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
উখিয়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেছেন, বন ও পাহাড় খেকোদের দৌরাত্ম্য থামাতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বন বিভাগ। জনবল সংকটের পরেও বন ও পাহাড় রক্ষায় রাত-দিন নিরলস কাজ করছে। গত এক সপ্তাহে উখিয়ায় ৪টি অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ ও বিপুল পরিমাণ কাঠ জব্দ করা হয়।
হলদিয়ার শাহজাহান মেম্বারের মালিকানাধীন গাড়ী আটকের বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেছেন, গভীর রাতে ইউএনও স্যারের তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানবীর হোসেন বলেছেন, বন ও পাহাড় ধংসকারী যতই প্রভাবশালী হউক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নে পাহাড় কাটার সময় মোসলেম উদ্দিন নামে শ্রমিক নিহত হয়েছে।
Leave a Reply