সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী শিশুসহ ৫৮ রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মানবপাচার চক্রের প্রধান মোহাম্মদ ইয়াছিনসহ ৪ দালালকে আটক করা হয়।শুক্রবার রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোনা সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভের সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়ার মধ্যে ৩৩ শিশু, ১৬ নারী ও ৯ জন পুরুষ। তারা টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, শুক্রবার রাতে সাগরপথে রোহিঙ্গাদের একটি দল সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচার হচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সদর ইউনিয়নের দরগার ছড়ার মেরিন ড্রাইভের সমুদ্র সৈকত অবস্থান নেয়। এ সময় ট্রলারে আগে নারী ও শিশুসহ ৫৮ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মানব পাচারকারীর প্রধান মো. ইয়াছিনসহ ৪ দালালকে আটক করা হয়।
আটক দালাল হলো- মহেশখালীয়া পাড়া এলাকার আমজল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াছিন (২৩) দরগার ছড়া এলাকার জলু সওদাগর ছেলে মো. জুবায়ের (৩৫) উত্তর লম্বরী এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে নাজির হোসেন (৬১) ও লক্ষ্মীনারায়ণপুর, এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলেরামিমুল ইসলাম রাদীদ (৩১)।
উদ্ধার হওয়া রোজিনা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী বর্তমানে মালয়েশিয়া থাকে। দালালদের মাধ্যমে সন্তানসহ আমি সাগরপথে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলাম। এ জন্য দালালকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি ১ লাখ ৬০ টাকা মালয়েশিয়া পৌঁছে আমার স্বামী দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দালালরা টেকনাফের একটি পাহাড়ে ৪ দিন আটকে রাখে। অবশেষে যাত্রার প্রস্তুতিকালে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছি।’
ওসি আরও জানান, মানবপাচারকারীরা রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া পাচার করে থাকে। আটক চার দালালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply