বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণার আগেই হঠাৎ চাউর হয়, বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচের বেশি খেলবেন না তামিম ইকবাল। এ নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। শেষ পর্যন্ত তামিমকে ছাড়াই বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। তবে বাঁহাতি এই ওপেনার জানালেন, ম্যাচ খেলা নিয়ে কোনো কথাই বলেননি তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দল ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়ে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান তামিম।

ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, একটা জিনিস আপনাদের একদম পরিষ্কার করে দিতে চাই, আমি কোনো সময় কোনো মুহূর্তে কাউকে বলি নাই যে, আমি ৫টা ম্যাচের বেশি খেলতে পারব না। এই কথাটা কোনো সময় হয় নাই। আমি নিশ্চিত। কালকে নান্নু ভাইও এই কথাটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। এটা একটা মিথ্যা কথা, ভুল কথা।

তামিম ইকবাল বলেন, কেউ যদি চ্যালেঞ্জ করতে চায়, তো আমি প্রস্তুত। ফিজিও রিপোর্টে ছিল, ২৬ তারিখের ম্যাচের সিলেকশনের জন্য আমি অ্যাভেইলেবল। কিন্তু, মেডিকেল ডিপার্টমেন্ট মনে করছিল, আমি যদি রেস্ট নিই, এরপরে ২৭ তারিখ ট্রাভেল করে সেকেন্ড প্র‍্যাকটিস ম্যাচটাও খেলি, তাহলে প্রথম ম্যাচের আগে টোটাল ১০ সপ্তাহের রিহ্যাবও হয়ে যাবে, তখন আমি অনেক ভালো অবস্থায় থাকব প্রথম ম্যাচ খেলার জন্য। রিপোর্টে হুবহু এই কথাগুলোই ছিল। পাঁচ ম্যাচ, দুই ম্যাচের কোনো কথাই হয় নাই।

তামিম বলেন, বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করে আমাকে বললেন, ‘তুমি তো ওয়ার্ল্ড কাপে যাবা, তোমাকে ম্যানেজ করে খেলাতে হবে। এক কাজ করো, তুমি আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলো না।’ আমি তখন বললাম, ‘ভাই, এটা তো ১২-১৩ দিনের কথা। তখন তো আমি ভালো কন্ডিশনে থাকব, কেন খেলব না?’ উনি বলল, ‘তুমি যদি খেলোও, তাহলে আমরা এইরকম একটা প্ল্যান করতেছি, তোমাকে নিচে ব্যাটিং করাব।’

বাঁহাতি এই ওপেনার বলেন, আপনাদের মাথায় রাখতে হবে, আমি কোন মাইন্ডসেট থেকে আসতেছিলাম। আমি একটা ভালো ইনিংস খেলেছি, হ্যাপি ছিলাম, হঠাৎ করেই আবার এসব ধরনের কথা… আমি বিষয়টা পছন্দ করি নাই। আমার মনে হচ্ছিল, আমাকে জোর করে করে অনেক জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। ইচ্ছা করে করে (কাজগুলো করা হচ্ছে) যে, এটা ঠিক হলো, তাহলে এখন নতুন আরেকটা করো।